এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলার হাসপাতাল- নার্সিংহোম থেকে করোনা ছড়াচ্ছে? সামনে এল বিস্ফোরক অভিযোগ!

বাংলার হাসপাতাল- নার্সিংহোম থেকে করোনা ছড়াচ্ছে? সামনে এল বিস্ফোরক অভিযোগ!


করোনা মোকাবিলার জন্য রাজ্যের প্রতিটি জেলায় করোনা হাসপাতাল তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। করোনা আক্রান্ত রোগীরা যাতে সরকারি হাসপাতালে না যান এবং এর ফলে যাতে অন্যান্য রোগীদের মধ্যে করোনা সংক্রমিত না হয়, তার জন্যই সরকারের এই উদ্যোগ। তবে সত্যিই কি সরকারের এই উদ্যোগ সফলতা পাচ্ছে? বাস্তব কিন্তু এই ব্যাপারে অন্য কথা বলছে। জানা গেছে, চেতলার এক মহিলার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে সম্প্রতি রাসবিহারী বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার সুস্থ সন্তান হয়েছে।

কিন্তু সন্তান হওয়ার কদিন পরেই দেখা যায় যে, তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। তবে শুধু সেই প্রসূতি মহিলা নন, তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা তার মা, বোন দুজনেই এখন করোনা হাসপাতলে আক্রান্ত বলে খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে তাদের তিনজনকেই বাঙ্গুর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তাহলে কি এই প্রসূতি যখন তার গর্ভযন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তখন সেখানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী ছিলেন? হাসপাতালের তরফে বলা হচ্ছে, এমনটা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

কিন্তু তাহলে এই প্রসূতি কিভাবে এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হলেন? এই ব্যাপারে অন্য সত্য স্বীকার করে নিতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। এদিন তিনি বলেন, “শহরের কিছু নার্সিংহোম এবং বেসরকারি হাসপাতাল থেকে করোনা সংক্রমণ ঘটছে বলে রোগীর পরিবারের তরফে গত কয়েকদিন ধরে অভিযোগ আসছে। ভর্তি হচ্ছে অন্য অসুখ নিয়ে, আর কদিন পর করোনা রোগী হয়ে যাচ্ছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু ফিরহাদ হাকিম যখন এই কথা বলছেন, তখন তার বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। করোনা চিকিৎসার জন্য তৈরি হয়েছে পৃথক করোনা হাসপাতাল। তাহলে কোনো স্বাভাবিক যদি এমনি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান, তাহলে কেন তার উপযুক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিচ্ছেন না চিকিৎসকরা? জানা গেছে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর 24 পরগনা সহ একাধিক জেলার অনেক নার্সিংহোম হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে যে, টাকার লোভে গোপন আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করে চিকিৎসা করালেও, প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নেওয়া হচ্ছে না।

যার ফলে ছড়িয়ে পড়ছে এই করোনা ভাইরাস। কিন্তু কেন বেসরকারি হাসপাতালগুলো এই ব্যাপারে সচেতন নয়? এদিন এই প্রসঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালে সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব হসপিটাল অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার ভাইস-প্রেসিডেন্ট রুপক বড়ুয়া বলেন, “হয়ত রোগীদের দেখে আগেই ভাইরাস ছিল। উপসর্গহীন হওয়ায় প্রথমে ধরা পড়েনি। চারদিন পর দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষায় পজেটিভ এসেছে।”

আর বেসরকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে সরকারি কর্তা যে যাই বলুন না কেন, স্বাভাবিক অসুখ নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করা রোগীদের মধ্যে যদি পরবর্তীতে করোনা ভাইরাস বাসা বাঁধতে শুরু করে, তাহলে তো রাজ্যে এই ভাইরাস কমার কোনো লক্ষনই দেখা যাবে না। সেদিক থেকে যত দিন যাবে, তত অন্যান্য রোগীদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়বে এই করোনা ভাইরাসের দাপট। সব মিলিয়ে এবার সরকারি হাসপাতালে এক প্রসূতির সন্তান প্রসবের পর তার শরীরেও করোনা ভাইরাস স্থায়িত্ব লাভ করায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!