এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হিংসা বন্ধের দাবিতে এবার মমতার দ্বারস্থ শোভনদেব, মহা ফাপড়ে তৃণমূল নেত্রী!

হিংসা বন্ধের দাবিতে এবার মমতার দ্বারস্থ শোভনদেব, মহা ফাপড়ে তৃণমূল নেত্রী!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে রাজ্য জুড়ে যে হিংসা শুরু হয়েছে, ফলাফল প্রকাশের পরেও তা থামছে না। তবে শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব অবশ্য এই হিংসার কথা অস্বীকার করছে। তবে একের পর এক তৃণমূল বিধায়ক ইতিমধ্যেই এই হিংসা নিয়ে মুখ খুলে দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর এবার গোটা বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করার কথা জানিয়ে দিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তার স্পষ্ট কথা, তিনি এই হিংসা বন্ধ করতে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রস্তাব দেবেন, যাতে শান্তি মিছিল করা হয়।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনের পরেও লাগাতার হিংসা নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি মমতাকে প্রস্তাব দেব, যাতে এই হিংসা বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়া যায়। আমি বলব যে, সকলে মিলে একটা জনমত গড়ে তোলা দরকার। নির্বাচনের পরেও কেন এত জীবন ক্ষয়, কেন এত মারামারি হবে! এটা আমার ভালো লাগছে না তাই সবাই মিলে যদি বিভিন্ন জায়গায় শান্তি স্থাপন করতে শান্তি মিছিল করা যায় বা হিংসার বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করা যায়, তাহলে ভালো হয়।”

একাংশের মতে, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে অত্যন্ত ভালো মানুষ। তিনি বরাবরই হিংসার বিরুদ্ধে মতামত দেন। তবে তিনি হিংসার বিরুদ্ধে মতামত দিলেই যে তার দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করবেন, সেটা কি আদৌ মেনে নেওয়া যায়! কারণ যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইতেন, হিংসা বন্ধ করতে, তাহলে তিনি প্রথম ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই কড়া হাতে পরিস্থিতি দমন করতে পারতেন। কিন্তু তা করা হয়নি বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। তাই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় হিংসা বন্ধের কথা বললেও এবং সেই ব্যাপারে প্রস্তাব দিলেও, তার দলের নেত্রী তা কতটা মানবেন, সেটাই একটা বড় প্রশ্ন।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজনৈতিক দলের কর্মী মিলিয়ে প্রায় 45 জনের মতো প্রাণ চলে গিয়েছে। একটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এত মানুষের মৃত্যু বাংলা ছাড়া আর কোথাও হয় না বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। কিন্তু তারপরেও হিংসার ঘটনা থামছে না। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের হুমায়ুন কবীর থেকে শুরু করে মদন মিত্রের মতো বিধায়করা হিংসা বন্ধের পক্ষে সওয়াল করেছেন। আর এবার সেই হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দিয়ে সরাসরি নেত্রীর কাছে এই ব্যাপারে তিনি জনমত গড়ে তুলতে প্রস্তাব দেবেন বলে জানিয়ে দিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে তার এই উদ্যোগ বাস্তবে কতটা সফলতা পায়, হিংসা আদৌ বন্ধ হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!