ভাঙড়ের মতো ক্ষতিপূরণের দাবিতে একজোট হুগলির চন্ডীতলার চাষীরা রাজ্য January 5, 2018 স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা এবং ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা না করেই ৪০০ কেভির বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের খুঁটি পোতাকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ।ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার চণ্ডীতলা থানার মশাটের হরিপুর এলাকায়।প্রথমে ভাঙ্গর তারপর হরিপুর।আন্দোলন এবং বিক্ষোভের এই ঘটনা চিন্তা বাড়ালো রাজ্য সরকারের। বৃহস্পতি বার বিদ্যুত দপ্তর ৪০০ কেভির সাবস্টেসন তৈরীর জন্য কাজ শুরু করেন। ঠিক সেই সময় এলাকার চাষীর একযোগে প্রতিবাদ শুরু করে এবং কাজ বন্ধ করে দেয়। এদিন প্রতিবাদে নামা স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবী যে একই কাজের ক্ষেত্রে সরকার দুই ধরনের নীতি অবলম্বন করছে।আন্দোলনকারী চাষীদের দাবি ভাঙড়ের মতো তাদের কোনো ক্ষতি পূরণ দেয় নি সরকার।এমনকি কাজ শুরু করবার আগে তাদের সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বৈঠকের ব্যবস্থাও করা হয়নি।তাদের ভাঙড়ের চাষীদের মতো উপযুক্ত ক্ষতি পূরণ না দেওয়া হলে তারা এই কাজ করতে দেবেনা বলে জানায়।ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তরুণ কর্মকার।প্রধাণ বলেন যে কাজে যারা বাঁধা দিচ্ছে তাঁদের মধ্যে যাঁদের জমিতে খুঁটি বসেছে তাঁরা ক্ষতিপুরণ পেয়েছেন কিন্তু এখন যাদের জমির ওপর দিয়ে তার যাচ্ছে তাঁরাও ক্ষতিপূরণের দাবী করছে। তরুণ বাবু আরও জানান যে বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের জানিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে।জানা গেছে হরিপুর এলাকায় সরকার থেকে ৪০০ কেভির একটি বিদ্যুৎ সাবস্টেশন তৈরির কাজ চলছে। দুটি বিভাগে বিভক্ত এই কাজে প্রথম পর্যায়ের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হলেও দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ এখনো বাকি।স্থানীয় সূত্রের খবর,গত বৃহস্পতিবার হরিপুরে বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করবার জন্য বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা খুঁটি পুঁততে গেলে তাদের বাধা দেয় গ্রামের স্থানীয়রা।হরিহর পুর গ্রামের কৃষকদের বক্তব্য প্রথম পর্যায়ে যে জমির ওপর দিয়ে তার গেছে তাতে সবাই চাষ করতে ভয় পাচ্ছে শুধু তাই নয় তা বিক্রিকরতেও সমস্যা হচ্ছে । তাঁরা কেউই উন্নয়ন বিরোধী নয়। কিন্তু উন্নয়নের কাজে কেউ ক্ষতিপূরণ পাবে আর কেউ পাবে না তা তাঁরা মেনে নেবেন না। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষনা করেছেন ভাঙড়ে পওয়ার গ্রিডের তার যে জমির উপর দিয়ে যাবে তারাও ক্ষতিপুরণ পাবে। কিন্তু হরিহরপুরের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ চাষীদের .বিদ্যুৎ দপ্তর জানায় যে পাঁচ মাস আগেই সাবস্টেশনটি চালু করা হয়েছে। আশা করা যায় ক্ষতিপুরণের সমস্যা খুব শিঘ্রই প্রসাশন সমাধান করবে । আপনার মতামত জানান -