এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > হু হু করে বাড়ছে সংক্ৰমন! বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার কীট দেয়া বন্ধ করল কেন্দ্র, ক্ষোভ রাজ্যের!

হু হু করে বাড়ছে সংক্ৰমন! বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার কীট দেয়া বন্ধ করল কেন্দ্র, ক্ষোভ রাজ্যের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –ভারতের অন্যান্য কিছু রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গে করোনার সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে মোট করোনা সংক্রমণ ১৬৫০০০ এর গণ্ডি অতিক্রম করেছে। রাজ্যের করোনা সংক্রমণ রোধে রাজ্য সরকার আরও বেশি করে করোনা টেস্ট কিভাবে বাড়ানো যায় সে দিকে সর্বদা লক্ষ্য রাখছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসের দিন থেকে রাজধানী কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ৭০ টি ল্যাবরেটরীতে প্রতিদিন ৪০থেকে ৪৫ হাজার করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে এই পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানোর। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আসা একটি চিঠি রাজ্যের সমস্যাকে আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দিলো। যে চিঠিতে বলা হলো পশ্চিমবঙ্গে এখন থেকে আর বিনামূল্যে করোনা শনাক্তকরণে ব্যবহৃত আরটিপিসিআর কিট দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তে সিঁদুরে মেঘ দেখছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

১০ দিন আগে আইসিএমআরের তরফ থেকে একটি চিঠি রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবের কাছে এসেছিল। রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবের কাছে ওই চিঠিতে জানানো হয়েছিল যে, ১ লা সেপ্টেম্বর অর্থাৎ, গত কাল থেকে করোনা শনাক্তকরণে ব্যবহৃত আরটিপিসিআর কিট, ভিটিএম ও সেই সঙ্গে অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবার থেকে রাজ্যকে খোলা বাজার থেকে কিনে নিতে হবে।

একথা শোনা মাত্রই ভীষণভাবে উদ্বেগ বাড়ছে রাজ্য সরকারের। কারণ শুধু আরটিপিসিআর কিট কিনতেই রাজ্যের খরচ হতে চলেছে কম করে ৮ লক্ষ টাকা প্রতিদিন। এর পরে বাড়তি খরচের তালিকায় রয়েছে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে তা ল্যাবরেটরি নিয়ে যাবার জন্য ব্যবহৃত ভাইরাস ট্রান্সপোর্ট মিডিয়াম বা ভিটিএম কিটের খরচ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে পাওয়া এই চিঠিটি সম্পর্কে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডঃ অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ” আইসিএমআরের অবস্থান জানার পর স্বাস্থ্য দপ্তর জরুরি ভিত্তিতে আরটিপিসিআর কিট ও ভিটিএম (VTM) কিনেছে। ” তবে, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার এই চিঠি পাওয়া মাত্রই আগামী দেড় মাসের জোগাড় করে ফেলেছে সমস্ত রসদ যা সম্প্রতি মজুত করার চেষ্টা চলছে। রাজ্য সরকারের বক্তব্য, কেন্দ্র যদি বিনামূল্যে কিট না দেয়, তবে রাজ্যকে তার ব্যবস্থা করে নিতেই হবে। কারণ করোনা পরীক্ষা তো আর বন্ধ করে রাখা যাবে না।

কিন্তু আগামী দিনে করোনা পরীক্ষার খরচ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে। শুধু কিট ই নয়, করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহৃত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাদি যেমন সিপলার বা হাই সেনসিটিভ স্পেক্টমেট্রিকও এখন থেকে আইসিএমআর অনুমোদিত কোন সরবরাহকারীর কাছ থেকে কিনে নিতে হবে রাজ্যকে। আর এই সমস্ত কারণেই রাজ্য সরকারের খরচ অনেক বেড়ে যাবে। যার ফলে রাতের ঘুম উড়ছে রাজ্য সরকারের।

এতদিন রাজ্যে শুধু সরকারি ল্যাবরেটরি বা হাসপাতালগুলোতেই নয়, আইসিএমআর অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতালগুলো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে থেকে নিখরচায় আরটিপিসিআর কিট, ভিটিএম এসেছিল।যা এখন থেকে বন্ধ হলো। এ ব্যাপারটি রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে রাজ্যের অর্থ সচিবকে জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাক্তার অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ” আইসিএমআর থেকে চারটি নির্দিষ্ট ভেন্ডারকে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। টেন্ডারের মাধ্যমে তাদের থেকেই কেনা হবে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!