করোনা আতঙ্কের মাঝেই ইন্দোনেশিয়াবাসীর জন্য সামনে এল ভয়ঙ্কর দুঃসংবাদ! পুরোটা জানলে চমকে যাবেন! আন্তর্জাতিক বিশেষ খবর January 10, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আতঙ্ক কাটবে এই আশায় সব দেশই নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু সেখানে নতুন বছরটা মোটেই ভালো যাচ্ছে না ইন্দোনেশিয়ার জন্য। না কোনো করোনা সংক্রমণ নয়, বরং ভয়ানক বিমান দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বস্তুত, গতকাল ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে উড়ানের পরই সম্ভবত ভেঙে পড়ে একটি যাত্রীবাহী বিমান। যদিও এখনো পর্যন্ত কিছু নিশ্চিত করে জানা যায়নি, তবুও উড়ানের কিছুক্ষণের মধ্যেই শ্রীউইজায়ার এই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারায় বলেই জানা গেছে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, জাকার্তা থেকে বিমানটি ওয়েস্ট কালিমন্টান প্রদেশের পন্টিয়ানাকের দিকে যাচ্ছিল। ANI এর তরফে টুইট করে জানানো হয় যে, জাকার্তা থেকে বিমানটি ওয়েস্ট কালিমন্টান প্রদেশের পন্টিয়ানাকের দিকে যাওয়ার সময় সেটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। অন্যদিকে, শ্রীউইজায়ার তরফে জানানো হয় যে,জাকার্তা থেকে পন্টিয়ানাকের মধ্যে ৯০ মিনিট সময় লাগে। সেখানে উড়ানের পরই এআইটিসির সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ৬২ জনকে নিয়ে স্থানীয় সময় অনুযায়ী প্রায় দেড়টা নাগাদ বিমানটি রওনা দেয়। এরপর ২টো ৪০ মিনিট নাগাদ বিমানের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, ওই বিমানে ৫৬ জন যাত্রী ও ছ’জন কেবিন ক্রু ছিল। সেক্ষেত্রে বিমানে থাকা ৬২ জন যাত্রীরই মারা যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ বিমানটির সঙ্গে সংযোগ হারানোর সময় সেটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ হাজার ফুটেরও উপরে ছিল। যদিও পরে ত্রিশূলা উপকূলীয় প্রতিরক্ষাবাহিনীর জাহাজ যাত্রীদের দেহ ও বিমানের ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রে খুঁজে পায় বলেই জানা গেছে। তবে এটি নিখোঁজ বিমান থেকেই এসেছিল কিনা সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেই জানা গেছে। তবে শনিবার রাতে অন্ধকার ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনুসন্ধানে বাধা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আজ ধ্বংসাবশেষ পাওয়া স্থানটি পর্যবেক্ষণ করতে যাওয়া হবে বলেও জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পরিবহন সুরক্ষা কমিটির প্রধান। সেইসঙ্গে শনিবার সন্ধ্যায় তিনি জানান যে, আদৌ কেউ বেঁচে আছে কিনা সেই জন্য বিমানের যাত্রীদের নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। সেইসঙ্গে শনিবার রাতে শ্রীওয়াইয়া এয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এই ঘটনাটি নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন বলেও মন্তব্য করেছেন। তাঁর কথায়, তাঁরা সকলে আশা করছেন যে সকলের প্রার্থনা অনুসন্ধান প্রক্রিয়াটিকে তরান্বিত করবে। সেইসঙ্গে যাত্রীদের পরিবারগুলিকে সর্বোত্তম সম্ভাব্য সহায়তা প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি। যদিও করোনা পরিস্থিতিও অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে বলেও মনে করেছেন অনেকে। সেইসঙ্গে পাইলটদের তরফেও করোনা পরিস্থিতিতে কারণে তাঁদের দক্ষতায় ভাঁটা পড়েছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আপনার মতামত জানান -