‘সময় কিনতে’ গিয়ে আরও বড় গাড্ডায় জেডিএস-কংগ্রেস জোট? বিজেপির জয় সময়ের অপেক্ষা? জাতীয় July 19, 2019 কর্ণাটক নাটক চূড়ান্ত সীমায় – আজই নির্ধারিত হয়ে যায় যেতে পারে কুমারস্বামীর নেতৃত্বাধীন জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকারের ভাগ্য। ২২৫ আসন বিশিষ্ট কর্ণাটক বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১১৩ আসন। ফলে, বিগত বিধানসভা নির্বাচনে ১০৫ আসন পেয়ে কর্ণাটকের সর্ববৃহৎ দল হয়েও সরকার গড়তে পারে নি বিজেপি। সেইসময়, কর্ণাটকের ‘থার্ড বয়’ দেবেগৌড়া-কুমারস্বামীর জেডিএসকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়ে মাস্টারস্ট্রোক দেয় কংগ্রেস। কিন্তু এরপরেই জোটের রাশ কার হাতে থাকবে, তাই নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ক্রমশ চওড়া হয় ফাটল। আর তার পূর্ণ ফায়দা নিয়ে লোকসভা নির্বাচনে জেডিএস-কংগ্রেস জোটকে কর্নাটকে কার্যত ধুয়েমুছে সাফ করে দেয় বিজেপি। এরপরেই, আর জোটে থাকা সুরক্ষিত নয় বুঝেই দল ছাড়তে উঠেপড়ে লাগেন জোটের একাধিক বিধায়ক। আর বিজেপি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কর্নাটকে জেডিএস-কংগ্রেস জোটের সরকারের পতন নিশ্চিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। ফলে গতকালই কর্ণাটক বিধানসভায় হওয়ার কথা ছিল কুমারস্বামী সরকারের শক্তিপরীক্ষা। এমনকি কর্ণাটকের রাজ্যপালও নির্দেশ দেন, মধ্যরাত হয়ে গেলেও যেন গতকালই সরকারের শক্তিপরীক্ষা হয়ে যায়। কিন্তু, গতকালের শেষ পাওয়া চিত্র অনুযায়ী বোঝা যাচ্ছিল, কর্ণাটকের ভাগ্য দাঁড়িয়ে আছে মাত্র ১ ভোটের উপর। সরকারের পক্ষে ১০৪ জন বিধায়ক ও বিরোধী বিজেপির ১০৫ জন বিধায়ক। এই পরিস্থিতিতে কোনোরকমে যদি হাসপাতালে ভর্তি থাকা কংগ্রেস বিধায়ক শ্ৰীমন্ত পাতিলকে বিধানসভায় হাজির করানো যায় তাহলেই হয়ে যাবে ১০৫-১০৫ টাই। সেক্ষত্রে নির্ণায়ক ভোট দিয়ে স্পিকার বাঁচিয়ে দিতে পারবেন কুমারস্বামীর সরকারকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ফলে, ‘সময় কেনার’ জন্যই গতকাল রাজ্যপালের কথা না শুনেই বিধানসভা মুলতুবি করে দেন স্পিকার। জোটের নেতাদের মনে আশা জেগেছিল, নতুন করে হাতে ১২-১৮ ঘন্টা সময় পাওয়া গেছে, এই পরিস্থিতিতে শ্ৰীমন্ত পাতিলকে যদি ফিরিয়ে আনা নাও যায়, অন্তত ১ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসা গেলেই সরকারকে এই যাত্রায় বাঁচিয়ে দেওয়া যাবে। গতকাল সারারাত ধরে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভাতেই ধর্নায় বসে থাকলেও, জোটের নেতারা সারা রাত এক ভোট জোগাড়ের চেষ্টাতেই ব্যস্ত রইলেন। এদিকে, জোটের নেতাদের এই দৌড়োদৌড়ি দেখে মুচকি হাসছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা! এই প্রসঙ্গে কর্ণাটকের দায়িত্বে থাকা দিল্লির এক নেতা ফাঁস করলেন, তাঁদের এত হাসির কারণ। যাতে দেখা যাচ্ছে, ‘সময় কিনতে’ গিয়ে আরও গাড্ডায় কুমারস্বামী সরকার! গেরুয়া শিবিরের ওই নেতার কথায়, বিজেপির ১০৫ জন বিধায়কের পাশাপাশি কেপিজেপি ও নির্দল বিধায়কও তাঁদের সঙ্গেই আছেন। ফলে বিরোধী জোটের বর্তমান শক্তি ১০৭। অন্যদিকে, গতকাল সারাদিনে কর্ণাটকের বিধানসভায় অনুপস্থিত বিধায়কের মোট সংখ্যা ১৯, যাঁরা সকলেই সরকার পক্ষের। ফলে বর্তমানে সরকার পক্ষ পিছিয়ে আছে ৯৮-১০৭ ভোটে। অর্থাৎ গেরুয়া শিবিরের মতে, কুমারস্বামী সরকারের এই ফ্লোর টেস্টে পাশ করা কার্যত অসম্ভব। এখন দেখার, শেষপর্যন্ত কতটা মেলে গেরুয়া শিবিরের এই দাবি। দিনের শেষে কর্নাটকে কমল ফোটে নাকি, আবারো কোনো ‘মিরাক্যাল’ ঘটিয়ে সবাইকে চমকে দিয়ে সরকার বাঁচিয়ে দেবেন ডিকে শিবকুমাররা। আর কিছুক্ষনের মধ্যেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে কর্ণাটক বিধানসভায়। আপনার মতামত জানান -