এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির পুজো আয়োজন অথচ দেখা নেই হেভিওয়েট নেতানেত্রীর! তীব্র জল্পনা গেরুয়া শিবিরের অন্দরে

বিজেপির পুজো আয়োজন অথচ দেখা নেই হেভিওয়েট নেতানেত্রীর! তীব্র জল্পনা গেরুয়া শিবিরের অন্দরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় দুর্গাপুজোকে প্রচারের কাজে লাগাতে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দিয়ে ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধনের পরিকল্পনা হয়েছিল আগেই। সেই অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন বাংলার কয়েকটি পুজো উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে তিনি রাজ্যবাসীকে শারদ শুভেচ্ছা জানান। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে বাংলা ও বাঙালির কথা। কিন্তু গেরুয়া শিবিরে এতকিছু করেও অস্বস্তির কাঁটা রয়েই গেল। কারণ বিজেপির দুর্গাপুজোর অনুষ্ঠানে গরহাজির বেশ কয়েকজন নেতা।

সল্টলেকের ইজেডসিসি অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়ালি ভাষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল এবং সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ এবং জাতীয় স্তরের তাবড় বিজেপি নেতা, মন্ত্রীরা। কিন্তু আমন্ত্রণ পেয়েও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি দলের অন্যতম বর্ষীয়ান নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রথম বাংলায় কোন রাজনৈতিক দল এককভাবে দুর্গাপুজো করল। এই পূজা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ যেমন ছিল, তেমনই ছিল সৌরভ পত্নী ডোনা গাঙ্গুলী-সহ অন্যান্যদের সম্পাদনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সকাল থেকেই এদিন গেরুয়া শিবিরে সাজো সাজো রব। ধুতি-পাঞ্জাবি, উত্তরীয় পড়ে বাঙালি সাজে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সামনে এলেন। কিন্তু তার মধ্যেও নেই দলের দুই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় এবং রাহুল সিনহা। এই নিয়ে রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, তিনি ওই অনুষ্ঠানে যাননি। তবে কেন যাননি তা নিয়ে তিনি বিশেষ কিছু মন্তব্য করেননি। অন্যদিকে তথাগত রায় জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠানের জন্য তাঁকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। অন্যদিকে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শোভন-বৈশাখী দুজনকেই আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেই অনুযায়ী বিজেপি শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথাও হয়েছে তাঁদের বলে জানা গেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও শোভন এবং বৈশাখীকে অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে। তবে সূত্রের খবর, শোভন-বৈশাখীর মনে বিজেপির আন্তরিকতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আর তাই তাঁরা উপস্থিত হননি। যদিও বিরোধী শিবিরে থেকেও কিন্তু বরাবর তৃণমূলের যেকোনো অনুষ্ঠানে এখনো পর্যন্ত শোভন চট্টোপাধ্যায়কে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।

অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় গেরুয়া শিবিরে বিশেষ কোন জায়গা পাননি বলেই সবকিছুতে এত অনীহা প্রকাশ করেন তাঁরা। এদিন সল্টলেকে বিজেপির পূজার অনুষ্ঠানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শ্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁর সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। এছাড়াও স্তোত্র পাঠ, শঙ্খ বাজানো সহ বিভিন্ন প্রদেশের স্বেচ্ছাসেবীর ঢাক বাদকরাও ছিলেন। সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে ঋদ্ধি বন্দপাধ্যায় ও পিলু ভট্টাচার্যের সঙ্গীত অনুষ্ঠান আসর জমিয়ে দেয়।

তবে সবকিছুর মধ্যেও যেভাবে শোভন-বৈশাখী আমন্ত্রণ পেয়েও হাজির হলেন না এবং রাহুল ও তথাগতকে আমন্ত্রণ পত্র দেওয়া হল না- দুটি বিষয় নিয়েই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কিন্তু এ ধরনের ঘটনা যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে। আপাতত শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে বাংলার প্রধান উৎসব দুর্গাপুজো যে একটি রাজনৈতিক অংশ হয়ে উঠেছে, তা বলাইবাহুল্য। তবে এই রাজনীতির অংশ হননি যারা তাঁদের ভবিষ্যত পরিকল্পনার দিকেই নজর থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!