এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপি-তৃণমূলের চাপেই কি এবার ‘বিগ্রেডের’ ভাবনায় ‘তৃতীয় শক্তিও’?

বিজেপি-তৃণমূলের চাপেই কি এবার ‘বিগ্রেডের’ ভাবনায় ‘তৃতীয় শক্তিও’?

রাজ্য-রাজনীতিতে এখন লড়াইটা সরাসরি হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে, ফলে চাপ বাড়ছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যেও বলেই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এমনকি, ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের প্রচার কর্মসূচীর জন্য রাজ্যের দুটি শক্তিধর রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি এখন থেকেই বিগ্রেড সমাবেশের প্রস্তুতিতে কোমর বেঁধে লেগে পড়েছে। আর তাই, এমতাবস্থায় চুপচাপ বসে থাকতে নারাজ বামফ্রন্টও।

হতে পারে বর্তমান পরিস্থিতির সাপেক্ষে বামেদের দাপটে কমেছে – সংগঠনে রক্তক্ষরণ চলছে বহুদিন থেকেই। তবুও রাজ্য-রাজনীতিতে নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখার চেষ্টা বন্ধ করতে চায় না আলিমুদ্দিন কর্তারা। আর তাই, আগামী লোকসভা নির্বাচন থেকেই ফের ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বামফ্রন্ট। তাই তৃণমূল-বিজেপির পাশাপাশি বিগ্রড সমাবেশ নিয়ে প্রাথমিক চিন্তাভাবনা শুরু করছে বামেরাও বলেও সূত্রের খবর।

আর এই নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকও হয়ে গিয়েছে দিন দুয়েক আগে। তবে এখনও সমাবেশের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়নি। জানুয়ারীর শেষ বা ফেব্রুয়ারী মাসের শুরুতে বিগ্রেড সমাবেশ করার ইচ্ছে রয়েছে বামেদের বলে জানা গিয়েছে। সিপিএমের রাজ্য-নেতৃত্ব শীঘ্রই আবার দুদিনের বৈঠকে বসতে চলেছেন এবং সম্ভবত এই বৈঠকেই সমাবেশের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হবে,বলেই আঁচ পাওয়া গিয়েছে। ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুকে সামনে রেখেই সমাবেশে নামার কথা ভাবছে বামেরা। এছাড়া তৃণমূলের সন্ত্রাস এবং দুর্নীতিমূলক কর্মকান্ডের ‘অস্ত্র’ তো রয়েইছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই দুটি হাতিয়ারকেই বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রচার কর্মসূচিতে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কর্তারা। দিনের পর দিন পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম যেভাবে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে তা দেখে মুখ বুজে বসে থাকতে নারাজ বিমান বসু-সূর্যকান্ত মিশ্ররা। তাই দুর্গাপুজো মিটলেই প্রতিবাদের ক্ষেত্র প্রস্তুতিতে লেগে পড়তে চান বামেরা। বামফ্রন্ট্র সূত্রের খবর, আগামী ৮-৯ জানুয়ারী সমস্ত কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা দেশ ব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের পাশাপাশি একইসঙ্গে প্রচার কর্মসূচি চালানোর পরিকল্পনা করতে চলেছে রাজ্য-নেতৃত্ব।

প্রসঙ্গত, ফ্রন্টের শরিকদল গুলিও বর্তমান পরিস্থিতির সাপেক্ষে এই ধরনের বৃহত্তর সমাবেশ করার পক্ষেই সওয়াল তুলেছে। উল্লেখ্য, বৃহৎ আকারের বিগ্রেড সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই বিজেপি-বিরোধী হেভিওয়েট নেতাদের আমন্ত্রণের সংকল্প করে ফেলেছেন। বিজেপি-বিরোধীতাকে এভাবেই লোকসভা ভোটের আগে তৃনমূলের শক্তিবৃদ্ধিতে কাজে লাগানোর মাষ্টারপ্ল্যান করেছেন তিনি। সেই বিগ্রেড সমাবেশের তোড়জোড় এখন থেকেই শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল।

অন্যদিকে, বিজেপিও চুপ করে বসে নেই। তারা আগেই বৃহত্তর প্রচার কর্মসূচির জন্য রাজ্য-ব্যাপী রথযাত্রার পরিকল্পনা করে ফেলেছে। রথযাত্রার শেষপর্বে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিগ্রেডে এনে তৃণমূলকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই দুই রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ডের সাপেক্ষে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নিজেদের গুরুত্ব বোঝাতে মরিয়া বামেরাও। তাই তাঁরা বিগ্রেড সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ব্যাপারে দিল্লি নেতৃত্বের তরফ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আর তারপরেই, এদিন ফ্রন্টের বৈঠকে এই বিষয়ে শীলমোহর দেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম-এর রাজ্যসম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও। সেখানেই বিমান বাবু আগামী বিগ্রেড সমাবেশের জন্য দলীয় নে তৃত্বদের প্রস্তুত হওয়ার বার্তা দেন এবং জানান,সমাবেশের দিনক্ষণ পরবর্তী বৈঠকে নির্দিষ্ট করা হবে। এখন মানুষের সমর্থন নিয়ে বামেদের এই বিগ্রেড সমাবেশ কতোটা সফল হয় তা দেখার জন্যই মুখিয়ে রয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারণ মানুষ!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!