“যে গরু দুধ দেয়, তার লাথি খেতে রাজি” মমতার মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিস্ফোরক মোদী! জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য April 6, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের ফলাফল যখন অত্যন্ত খারাপ হয়ে গিয়েছিল, তখন সংখ্যালঘুদের সমর্থন তৃণমূলের দিকে থাকার কারণে সাংবাদিক বৈঠক করতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে সংখ্যালঘুদের ভোট তাদের দিকে থাকার কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, “যে গরু দুধ দেয়, তার লাথি খেতে রাজি।” স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল নেত্রী এই মন্তব্য করার পর নানা মহলে বিতর্ক তৈরি হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কি সংখ্যালঘুদের গরুর সঙ্গে তুলনা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আর বর্তমান বিধানসভা নির্বাচনের মরসুমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বক্তব্যকে তুলে ধরে আজ তৃণমূল নেত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে তৃতীয় দফার নির্বাচনের দিন রাজ্যে এসে তৃণমূল নেত্রীকে এই ইস্যুতে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তিনি। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অহংকার হয়েছে বলেও দাবি করতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে। সূত্রের খবর, আজ রাজ্যে এসে সভা করে এই ইস্যুতে সোচ্চার হোন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “দিদির এত অহংকার, তিনি বাংলার ভোটারদের নিজের জাগির ভাবছেন। দিদি বাংলার জনতাদের জন্য বলেছেন, যে গরু দুধ দেয়, তার লাথি খেতে হয়। দিদি আপনার মনে আছে? দিদি বাংলার মানুষকে ত্রস্ত করে রেখেছেন।” অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতীতের করা মন্তব্য যে এবার প্রধানমন্ত্রীর গলায় উঠে আসায় তা কটাক্ষ রূপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অস্বস্তিতে ফেলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলা দখলের বার্তা নিয়ে তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিয়ে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে রীতিমত শোরগোল ফেলে দিলেন নরেন্দ্র মোদী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সকলেই অভিযোগ করছেন, তৃণমূলের আমলে গণতন্ত্র সম্পূর্ণরূপে বিপন্ন। এক্ষেত্রে রাজ্যবাসীর বিপদে একমাত্র বিজেপি তাদের পাশে থাকবে বলে জানিয়ে দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আর এই পরিস্থিতিতে 10 বছর ধরে রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য তুলে ধরে বাংলার মানুষের আবেগ জাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে অপমান করেছেন বলে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন নরেন্দ্র মোদী। এক্ষেত্রে এই গোটা বিষয় তৃণমূল নেত্রী এবং তার দলকে যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে ফেলে দেবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -