এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > জেহাদি হয়ে যাওয়া বাংলাদেশী গৃহবধূ শামিমা বেগমকে নিয়ে উত্তাল গোটা ব্রিটেন! জানুন বিস্তারিত!

জেহাদি হয়ে যাওয়া বাংলাদেশী গৃহবধূ শামিমা বেগমকে নিয়ে উত্তাল গোটা ব্রিটেন! জানুন বিস্তারিত!


 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি জিহাদি শামীমা বেগমকে নিয়ে ব্রিটেনের পরিবেশ বেশ সরগরম হয়েছে। জানা গেছে, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ নাগরিকের সঙ্গে আইয়েসের যোগ ছিল। তাই একসময় তার নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীকালে তিনি ব্রিটিশ সরকারি আইনের কাছে সাহায্য চেয়ে মামলা করেন। এবার সেই মামলায় রায়ই পেশ করতে চলেছে ব্রিটিশ সরকার।

জানা যায়, তার বাবা মা বাংলাদেশী হলেও শামিমার জন্ম ব্রিটেনে। ২০১৫ সালে স্কুলে পড়ার সময় সে পালিয়ে সিরিয়া চলে যায়। সেখানে গিয়ে আইএসে যোগ দেয় সে। পরে সেই সংগঠনেরই একজন জেহাদিকে সে বিয়ে করে। এরপর ২০১৯ সালে সিরিয়ার বন্দি শিবিরে তার খোঁজ পাওয়া যায়। দেখা যায়, সেখানে তার তিন সন্তান মারা গিয়েছে। তার ডাচ স্বামী তাকে সেখানে ফেলে রেখে নিজের দেশ নেদারল্যান্ডসে ফিরে গেছে। তবে তার স্বামীকে ফিরিয়ে নিলেও নেদারল্যান্ডস শামিমাকে গ্রহণ করতে চায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেই সময় ব্রিটিশ আদালত জানায় যে, জেহাদি শামিমা বেগমকে দেশে ফিরে নাগরিকত্ব খারিজের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু পরে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য রিস্কি মনে করে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে দেয় ব্রিটিশ সরকার। তাকে ব্রিটেনে প্রবেশেরও স্বীকৃতি দেওয়া হয়না। অন্যদিকে ঢাকাও জানিয়ে দেয় দেশে ঢুকলেই গ্রেপ্তার করা হবে তাকে। ফলে সিরিয়া থেকে বেরনোর সমস্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই শামিমা আদালতে যায়।

এতদিন তাকে নিয়ে গোড়া থেকেই ব্রিটিশ সরকার সাফ জানিয়ে আসছিল যে তারা শামিমাকে দেশে ফেরাতে কোনও পদক্ষেপ করবে না। কিন্তু আদালতের রায়ে এবার ওই জেহাদি বধূকে লন্ডনে আনতেই হবে বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে শামিমাকে ব্রিটেনে ফেরানো নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। ২০১৯ সালে শামিমার নাগরিকত্ব রদ করেছিলেন যিনি তিনিই আদালতের রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি আর কেউ নন, খোদ ব্রিটেনের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব সাজিদ জাভেদ। তবে জুলাই মাসে আপিল আদালত জানায় যে, শামিমার নাগরিকত্বের অধিকার রয়েছে। তিনি রাষ্ট্রবিহীন হতে পারেন না। তাই নিরাপত্তার জন্য ওই মহিলা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও তাঁকে ব্রিটেনে নিয়ে আসতে হবে। তবে এই বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারি পক্ষ আপিল আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর পাঁচজন বিচারপতির এজলাসে নিজেদের বক্তব্য পেশ করবে বলে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!