এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জেলযাত্রা নিশ্চিত, আরও বেকায়দায় মমতা! সুকান্তর বক্তব্যে উজ্জীবিত বিজেপি!

জেলযাত্রা নিশ্চিত, আরও বেকায়দায় মমতা! সুকান্তর বক্তব্যে উজ্জীবিত বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- চুরি, দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে গোটা পশ্চিমবঙ্গ। আজকে একের পর এক মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছে। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কোনো উপায় না দেখে বৃহত্তর জোট তৈরিতে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার স্বপ্ন দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এসব করে যদি তিনি ভাবেন যে, প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে নিজেদের নেতাদের জেলযাত্রা আটকাবেন, তাহলে তিনি ভুল করছেন। আর যাই হোক, মানুষকে বোকা বানানোর দিন শেষ। খুব দ্রুত যারা চুরি করেছেন, তারা জেলে যাবেন। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্ত দাবি করে আসছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু কবে প্রধান মাথা ধরা পড়বে, সেটা নিয়ে অনেকের মনের মধ্যেই প্রশ্ন রয়েছে। আর এর মাঝেই দিল্লি থেকে ফিরে বড় দাবি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও বেকায়দায় ফেলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি এমন একটি বক্তব্য সংবাদমাধ্যমের সামনে রেখেছেন, যার ফলে উজ্জীবিত বিজেপি কর্মীরাও।

প্রসঙ্গত, এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি ইন্ডিয়া জোট গঠন হলেও, কেউ চুরি করলেও যে রেহাই পাবে না, তা স্পষ্ট করে দেন। অর্থাৎ বিভিন্ন মহলে যে গুঞ্জন রটছে যে, তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির একটা সেটিং হয়ে গিয়েছে, এর ফলে অনেককে ধরা হবে না। তা যে একেবারে ভ্রান্ত, সে কথাও বুঝিয়ে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ফিশ ফ্রাই খান, চপ খান, যা খুশি তাই খেতে পারেন। কিন্তু জেল যাত্রা নিশ্চিত। জেলে যেতেই হবে। আর পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার আসবে।” আর রাজ্য বিজেপির প্রধান সেনাপতি যখন এই কথা বলছেন, তখন তা নিঃসন্দেহে কর্মীদের কাছে উজ্জীবিত হওয়ার মত। কারণ তারা সকলেই চাইছেন যে, রাজ্য থেকে এই সরকার বিদায় নিক এবং যারা দুর্নীতি করেছে, তারা জেলে যাক। তাদের শোচনীয় দশা হোক, এটাই দেখতে চাইছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিজেপি কর্মীরা। তাই দিল্লি থেকে ফিরে সুকান্ত মজুমদারের এই বক্তব্য নিঃসন্দেহে সেই গেরুয়া শিবিরের নীচুতলার কর্মী, যারা প্রতি মুহূর্তে দাঁতে দাঁত চেপে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তাদের কাছে যথেষ্ট আশাব্যাঞ্জক বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

বিজেপির দাবি, শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতি, ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য দপ্তরের দুর্নীতিও প্রকাশ্যে আসবে। আর তখনই মন্ত্রিসভার প্রধান ব্যক্তি জেলে যেতে বাধ্য। যিনি এই সরকারের প্রধান চালিকাশক্তি, এত বড় দুর্নীতি হয়ে যাচ্ছে, অথচ তিনি কিছু জানেন না, এটা সাধারণ মানুষ কেন, কেউ বিশ্বাস করবে না। তাই চালাকি করে বেশিদিন তিনি রেহাই পাবেন না। কেন্দ্রীয় এজেন্সি যেভাবে দুর্নীতির রহস্য ভেদ করতে উঠে পড়ে লেগেছে, তাতে খুব তাড়াতাড়ি আসল রহস্য ভেদ হবে। জেলে যাবে গোটা মন্ত্রীসভা। আর তারপরেই রাজ্যে আসল পরিবর্তন হবে। তৃনমূলের উৎখাত করে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং একাধিক বিধায়ক জেলে রয়েছেন। কিন্তু প্রধান মাথা পিসি-ভাইপোর বিরুদ্ধে কবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি কর্মীরা। অনেক ক্ষেত্রে তারা হতাশ হয়ে যাচ্ছেন যে, শুধুমাত্র হেভিওয়েটদের বাড়িতে তল্লাশি করা হচ্ছে, তাদের ডাকা হচ্ছে, কিন্তু ধরা হচ্ছে না। তবে বড় মাথাকে ধরতে গেলে সময় নিয়েই তথ্য-প্রমাণ যোগাড় করে বড় জাল ফেলতে হবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। তাই তারা আটঘাট বেঁধেই পথে নামছে। সুকান্তবাবুর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সেটাও স্পষ্ট বলেই মনে করছেন একাংশ। স্বাভাবিকভাবেই নিজের শোচনীয় পরাজয় দেখার জন্য, নিজের দলের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া, এই দৃশ্য দেখার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুত থাকুন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির বিরুদ্ধে জোট গঠন করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। শেষের সেদিন খুব কাছেই। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!