এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের বঞ্চনার কান্না শুরু মমতার, ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ শুভেন্দুর !

ফের বঞ্চনার কান্না শুরু মমতার, ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ শুভেন্দুর !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে উন্নতির নামে লবডঙ্কা, বেকারদের চাকরির কোনো দিশা নেই, গরিবের চোখের জল মোছানোর জন্য কোনো পরিকল্পনা নেই। শুধুমাত্র কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সেই টাকা দিয়ে তৃণমূল নেতাদের খুশি করতেই ব্যস্ত এই রাজ্যের শাসক দল। বিরোধীদের বক্তব্য তেমনটাই। তারা এটাও বলে যে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ কোন মুখে করে এই রাজ্যের সরকার? কেন্দ্র টাকা দেওয়ার পরেও সেই টাকার হিসেব দিতে পারে না দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এখন আবার মুখ্যমন্ত্রী যখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার নাকে কান্না কাঁদছেন, তখন তাকে একেবারে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এতদিন তো তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি রাজ্য সরকারের প্রত্যেকটি অভিযোগ খন্ডন করেছেন। যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, এই রাজ্য সরকার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার যে অভিযোগ করছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন। আর এবার মুখ্যমন্ত্রীকে এমন এক পরামর্শ দিলেন বিরোধী দলনেতা, যা শুনে হাসি থামাতে পারছেন না সমালোচকরাও।

প্রসঙ্গত, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে সংক্ষিপ্ত কথা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একেবারে লজ্জায় ফেলে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুবাবু বলেন, “ওনার কথার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই। গন্ডগোল আছে। ওনাকে ডাক্তার দেখাতে বলুন।” এখন বিরোধী দলনেতার এই কথা শুনে তৃণমূল বলতেই পারে যে, এই বিরোধী দলনেতা সৌজন্যতার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি যা ইচ্ছে তাই বলেন মাতৃসমা মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু মানুষের টাকা চুরি করে কেন্দ্রের কাছে টাকা চাওয়ার মত বড় বড় কথা কি করে শোনা যায় সেই মুখ্যমন্ত্রীর গলায়? তিনি তো নিজেই লজ্জার মাথা খেয়ে বসে আছেন। মানুষের টাকা চুরি করবে তার দলের নেতারা, তিনি সেই দুর্নীতিতে প্রশ্রয় দেবেন, আর কেন্দ্র তাকে টাকা দেবে, তা কি করে সম্ভব? তাই এতদিন তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে রাজ্য সরকারের যুক্তি ভিত্তিহীন হিসেবে প্রমাণ করার পর এবার একেবারে মুখ্যমন্ত্রীকে চিকিৎসা করার পরামর্শ দিয়ে সঠিক জবাব দিয়েছেন শুভেন্দুবাবু বলেই দাবি করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, ক্ষমতা ভোগ করতে গিয়ে এখন যা ইচ্ছে তাই বলে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বুঝতে পেরেছেন, তার সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে। যেভাবে দুর্নীতি, কেলেঙ্কারিতে এই সরকার জড়িয়ে পড়েছে, যেভাবে মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছে, তাতে খুব কম সময় টিকবে এই তৃণমূল সরকার। তাই এখন বঞ্চনার অভিযোগ করা ছাড়া নিজেদের মুখ রক্ষার আর কোনো উপায় নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আর সেই কারণেই তিনি আবার নাকে কান্না কেঁদে নিজেদের দোষ ত্রুটি থাকার চেষ্টা করছেন। তবে এসব করে মানুষের টাকা লুট করার চেষ্টা বেশিদিন টেকসই হবে না। খুব তাড়াতাড়ি এর যুতসই ফল পাবে তৃণমূল বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এখন করার মত কিছু নেই। দুর্নীতির হিসাব, চুরির হিসাব তিনি কেন্দ্রকে দিতে পারবেন না। কিন্তু তার টাকা চাই। তাই এখন বঞ্চনার নাকে কান্না কাঁদছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তবে রাজ্যের মানুষ জানে, এই সরকার কি দুর্নীতি করেছে! তাই মুখ্যমন্ত্রীর নাটক সকলেই ধরে ফেলেছেন। রাজ্যের কোষাগার শূন্য। তাই কেন্দ্রের কাছে হাত পাততে হচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। আর কেন্দ্র যখন ঠিকমতো টাইট দিয়েছে, যখন চুরি আটকে দিয়েছে, তখন তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলা ছাড়া,্ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর কোনো উপায় নেই। তাই তাকে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে একদম সঠিক কাজটাই করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। যার ফলে হাসি চেপে রাখতে পারছেন না অনেকেই। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!