এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > শুধু মহারাষ্ট্র বা বাংলা নয়! মোদি-শাহের ঘুম ওড়াতে চলেছে ঝাড়খন্ডও? সমীক্ষা ঘিরে তীব্র জল্পনা

শুধু মহারাষ্ট্র বা বাংলা নয়! মোদি-শাহের ঘুম ওড়াতে চলেছে ঝাড়খন্ডও? সমীক্ষা ঘিরে তীব্র জল্পনা


লোকসভা নির্বাচনে সারা ভারতবর্ষে মোদি ঝড় চলেছিল। যেখানে অধিকাংশ সমীক্ষায় বলেছিল, গতবারের তুলনায় আসন কমতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টির, সেখানে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর দেখা যায় কার্যত তিনশোর গণ্ডি পার করে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু কেন্দ্রের ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদির উপরে ভরসা রাখলেও, 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে যে সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এবং উপনির্বাচন হয়েছে, তাতে মোটেই ভালো ফল করতে পারেনি বিজেপি।

উদাহরণ স্বরূপ মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা দুই রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে পারেনি বিজেপি। হরিয়ানাতে সহযোগী দলের সহযোগিতা নিয়ে সরকার গঠন করতে সক্ষম হলেও মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে শিবসেনা বের হয়ে যাওয়াতে সরকার গঠনের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে গেরুয়া শিবিরের। তারপর আবার পশ্চিমবঙ্গ যেখানে বিধানসভা উপনির্বাচনে তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে দুটিকে নিশ্চিত ধরে এগোচ্ছিল ভারতীয় জনতা পার্টি, বৃহস্পতিবার ফলাফল সামনে আসতেই দেখা যায়, পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস কার্যত 3-0 গোলে হারিয়ে দিয়েছে বিজেপিকে।

অর্থাৎ তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্রই তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে গেছে এবং বিজেপির ঝুলিতে একটি আসনও পড়েনি। তবে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং বাংলার তুলনায় অনেক বেশি চিন্তার কারন হতে পারে ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হওয়া সি-ভোটার সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ভারতীয় জনতা পার্টি 33 টি আসনে জয়যুক্ত হতে পারে। আবার বিরোধী জোট পেতে পারে 30 টি আসন। অন্যদিকে ঝাড়খন্ড বিকাশ এবং অল ঝাড়খন্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন 6 টি আসন জিততে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপি পেতে পারে 33.3% ভোট। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা পেতে পারে 31.2% ভোট। আবার ঝাড়খন্ড বিকাশ মোর্চা 7.7% ও 4.6% ভোট পেতে পারে এজেএসইউ। তাই মনে করা হচ্ছে, বিজেপির কাছে মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার থেকেও বড় মাথাব্যথার হয়ে দাঁড়াতে পারে ঝাড়খন্ড। কারণ পরপর তিনটি রাজ্যে যদি বিজেপির একক ভাবে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন অধরা থেকে যায়, তাহলে আগামী দিনে ভারতবর্ষে রাজনীতিতে বিজেপির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

প্রসঙ্গত, 81 আসন বিশিষ্ট ঝাড়খন্ড বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য যেকোনো দলকে 41 টি আসনে জয়যুক্ত করতে হবে। বর্তমানে 47 টি আসন নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে এবারের নির্বাচন বিজেপির কাছে যথেষ্ট চিন্তার হতে পারে। বিগত পাঁচ বছর ঝাড়খন্ডে বিজেপি সরকারের থাকায় মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া কাজ করতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

আবার দেশজুড়ে বিজেপির উত্থানকে মাথায় রেখে বিরোধীরা মহাজোট গঠন করে বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হাত থেকে আটকাতে বদ্ধপরিকর। এই জোটে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস আরজেডি ইত্যাদি রাজনৈতিক দল সহযোগে লড়াই করছে। আবার বিজেপির দীর্ঘদিনের সঙ্গী অল ঝাড়খন্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন এই বছর আসন সমঝোতায় খুশি না হতে পেরে আলাদাভাবে প্রতিযোগিতা করছে।

সবকিছু মিলিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত পরিস্থিতির মধ্যে বিজেপিকে ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাই এখন দেখার বিষয় “মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়” বলা ভারতীয় জনতা পার্টি ঝাড়খণ্ডে নিজেদের সরকার রক্ষায় সক্ষম হয় কিনা। যদি প্রকৃত অর্থেই বিজেপি ঝাড়খণ্ডে এককভাবে সরকার গড়তে পারে, তাহলে বিগত নির্বাচনে আশানুরূপ ফল না পাওয়ার কারণে রাজস্থান, হরিয়ানায় যে ক্ষতস্থান তৈরি হয়েছে, সেই খতস্থানে কিছুটা মলম পড়বে বলেই মনে করছেন সকলে। আর নাহলে কিন্তু মোদী-শাহর কপালের ভাঁজ ক্রমশ চওড়া হবে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!