এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > একুশের দিকে চোখ রেখে বড়সড় রদবদল তৃণমূলে, ডানা ছাঁটা গেল বহু হেভিওয়েটের, নতুন দায়িত্বে একাধিক

একুশের দিকে চোখ রেখে বড়সড় রদবদল তৃণমূলে, ডানা ছাঁটা গেল বহু হেভিওয়েটের, নতুন দায়িত্বে একাধিক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –অবশেষে জল্পনাতেই সীলমোহর পড়ল। একুশে জুলাই সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আভাস দিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার দলের মিটিং আছে। সেখানে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর যেমন বলেছিলেন তিনি, ঠিক তেমনটাই হল। বুধবার থেকেই তৃণমূলের অন্দরমহলে ক্রমশ জল্পনা তৈরি হচ্ছিল যে, বৃহস্পতিবার এমন কিছু হতে পারে, যা 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় সিদ্ধান্ত হিসেবেই পরিগণিত হবে। অবশেষে তাই হল।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তৃণমূলের কর্মী মহলে ব্যাপক উন্মাদ তৈরি হয়েছিল। বিভিন্ন জেলায় দলের রদবদল হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। যেহেতু ভার্চুয়াল বৈঠক, সেহেতু দুপুর বারোটা বাজতে না বাজতেই তিনটেয় বৈঠকের পর ঠিক কি হয়, তার দিকে নজর ছিল তৃণমূলের নেতা কর্মী সমর্থকদের। আর তিনটের কিছু সময় পেরোতে না পেরোতেই একের পর এক সাংগঠনিক রদবদলের চিত্র সামনে আসতে শুরু করল।

সূত্রের খবর, এদিনের এই বৈঠক থেকে তৃণমূলের সংগঠনকে কার্যত ঢেলে সাজিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমবেশি দুই-একটি জেলা বাদে প্রায় প্রতি জেলাতেই সাংগঠনিক রদবদল করতে দেখা গেছে তাকে। জানা গেছে, তৃণমূলের নতুন রাজ্য কমিটিতে বেশকিছু সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অমিত মিত্র থেকে সৌগত রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সুকুমার হাসদার মত 21 জনকে রাজ্য কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে জঙ্গলমহলে ছত্রধর মাহাতো‌ জেল মুক্তি পেলেও, তিনি তৃণমূলের হয়ে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে ময়দানে নামবেন কিনা, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। অবশেষে এদিনের বৈঠকের পর সেই ছত্রধর মাহাতোকে রাজ্য কমিটিতে নিয়ে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই জঙ্গলমহলে বিজেপি কিছুটা প্রভাব বাড়ানোর পর এবার ছত্রধর মাহাতোকে হাতিয়ার করেই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে ঘাসফুল ফোটাতে চাইছেন, সেই ব্যাপারটি কার্যত নিশ্চিত রাজনৈতিক মহলের কাছে। এছাড়াও বেশ কিছু জেলার সভাপতি পদে দিনবদল এনেছেন তৃণমূল নেত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

জানা গেছে, পুরুলিয়া জেলায় শান্তিরাম মাহাতোকে সরিয়ে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গুরুপদ ঢুডুকে। অন্যদিকে ঝাড়গ্রামে বীরবাহা সোরেনকে সরিয়ে সেখানে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দুলাল মুর্মুকে। একইভাবে বাকুড়ায় শুভাশিস বটব্যালের জায়গায় এসেছেন শ্যামল সাঁতরা। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও বেশকিছু সাংগঠনিক পরিবর্তন এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোষ্ঠী কোন্দলে বিধ্বস্ত দক্ষিণ দিনাজপুর এবং কোচবিহার জেলার সভাপতি পরিবর্তন করেছেন তিনি। কোচবিহার জেলার ক্ষেত্রে বিনয় বর্মনকে সরিয়ে সেখানে সভাপতি করা হয়েছে পার্থপ্রতিম রায়কে।

অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা ঘোষকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গঙ্গারামপুরের তৃণমূল বিধায়ক গৌতম দাসকে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জেলার সাংগঠনিক রদবদল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন যে, যাদের তিনি দায়িত্ব দিলেন, তাদের উপর ভরসা রেখেই তিনি আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনে ঝাপাবেন।

তৃণমূলের অনেকে বলছেন, একসাথে এত জেলায় পরিবর্তন এর আগে কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেননি। এক্ষেত্রে তিনি দলের বর্তমান অবস্থাকে বুঝতে পেরেই এইরকম কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অনেক জেলার এমন অনেকে ছিলেন, যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। কিন্তু সেখানে সংগঠন ঠিক না থাকার কারণে অনেককেই বাদ দিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্বাভাবিকভাবেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের অন্দরমহলে এটা বড় রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক পরিবর্তন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন যারা নতুন দায়িত্ব পেলেন, তারা সংগঠনকে চাঙ্গা করে 2021 এ নিজ নিজ ক্ষেত্রে দলকে কতটা ভালো ফল করাতে পারেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!