জেলা কমিটি নিয়ে চরম বিবাদ, বিধায়কদের বিরোধীতাতেও পিছু হটছেন না সভাপতি, জোর চাঞ্চল্য! উত্তরবঙ্গ রাজ্য March 9, 2020 লোকসভা নির্বাচনের পর জলপাইগুড়ি জেলার সংগঠনের হৃতগৌরব পুনরুদ্ধার করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে নতুন সভাপতি করেন কিষাণকুমার কল্যানীকে। তবে জেলার সভাপতি পরিবর্তনের পরেও, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমেনি জলপাইগুড়িতে। বরঞ্চ সভাপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সরব হতে দেখা গেছে জেলার অনেক বিধায়ককে। সম্প্রতি নতুন জেলা কমিটি নিয়ে জেলা সভাপতির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছেন জেলারই একাধিক তৃণমূল বিধায়ক। যা নিয়ে পৌরসভা ভোটের আগে বেড়েছে দ্বন্দ্ব। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, জেলা সভাপতি জেলা কমিটি ঘোষণা করতেই তারা এই কমিটি মানবেন না বলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন একাধিক তৃণমূল বিধায়ক। আর এর পরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ময়দানে নামেন জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। আর এবার সেই সমস্যা সমাধান করতে জেলার বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসার কথা ছিল জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষানকুমার কল্যাণীর। কিন্তু বিধায়করা অনেকেই জেলার বাইরে থাকায় এখনও পর্যন্ত বৈঠকের দিন ঠিক হয়নি। যার ফলেই তৈরি হয়েছে চাপানউতোর। শেষ পর্যন্ত কি হবে এই জেলা কমিটির ভবিষ্যৎ! তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে। যদিও বা জেলা সভাপতি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, এই কমিটি থেকে কারও নাম বাদ যাবে না। বরঞ্চ বিধায়কেরা যদি কোনো নাম দেন, তাহলে তাদের সেই নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, “নতুন করে কমিটি তৈরি হবে। জেলা সভাপতির সাথে বৈঠকের দিনক্ষণ জানানো হবে। তারপর আমরা বসে কমিটি তৈরি করব। কিষানবাবুর কমিটি কার্যকর হয়নি।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণী বলেন, “বিধায়করা তাদের তালিকা দিলে কমিটিতে সংযোজিত করা হবে। কমিটিতে কোনো বদল হবে না। সাংগঠনিক কোনো বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনো মন্তব্য করব না।” এদিকে এই ব্যাপারে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর চন্দন ভৌমিক বলেন, “অনেক বিধায়ক জেলার বাইরে রয়েছেন। তারা ফিরলে কমিটি নিয়ে তাদের ক্ষোভের বিষয় জানব। তারপর তা জেলা সভাপতিকে জানাব। তারপর তিনি কি সিদ্ধান্ত নেন, তা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে দেওয়া হবে।” এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, আদৌ কমিটি নিয়ে অসন্তোষ থামে, নাকি পৌরসভা নির্বাচনেও তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরম আকার নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -