এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপিতে এই বিধায়ক যাচ্ছেন শুনেই ক্ষোভ বিজেপির অন্দরে, মাঠে নামলেন সভাপতি

বিজেপিতে এই বিধায়ক যাচ্ছেন শুনেই ক্ষোভ বিজেপির অন্দরে, মাঠে নামলেন সভাপতি

লোকসভা ভোটের আগে থেকে রাজ্যের নেতারা দাবি করেছেন যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসতে চাইছেন তৃণমূলের অনেক বিধায়ক, নেতারা। এই দাবি শুধুমাত্রই রাজ্যের নেতাদেরই নয় এই দাবি ছিল কেন্দ্রের নেতা মন্ত্রীদের তরফেও।
যদিও সেই দাবিকে তখন ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে রাজ্যে বিজেপি বলে কিছু নেই, ২ তো আসন পাবে কিনা তা নিয়ে আছে সন্দেহ, দিদি ৪২ সে ৪২ টি আসন নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু সে সব অতীত, রাজ্যে ২২ টি আসন পেয়েছে তৃণমূল আর ১৮ টি আসন পেয়ে ঘাড়ের কাছে নিঃস্বাস ফেলছে বিজেপি।

আর এর পরেই দলবদলের হিড়িক লেগে গেছে। রোজ ই দলবদল হচ্ছে একের পর এক। আজ ,জানা গেছে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন কালচিনির বিধায়ক উইলসন চম্প্রামারি। আরেকটা তিনি নিজে ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, আজ, সোমবার তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন৷ বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের হাত থেকে বিজেপির পতাকা নেবেন তিনি৷ আর এই খবর সামনে আসতেই জেলার রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়৷ আর এর পরেই বিজেপি নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ ছড়াতে শুরু করে বলে বিজেপি সূত্রে খবর৷

জানা গিয়েছে,এই খবর ছড়াতেই দলের আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন স্তরের অনেক নেতা-কর্মীরা ইতিমধ্যে উইলসনকে নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ দলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে উগরে দিতে শুরু করেছেন৷ তারা জানিয়েছেন যে এর ফলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে। দলের অন্দরে ক্ষোভ বাড়বে। বিজেপির নীচু স্তরের নেতাদের অভিযোগ, এক সময় চন্দন কাঠ পাচারে নাম জড়ানো উইলসনকে দলে নিলে মানুষের কাছে তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে৷

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দল সূত্রে খবর, উইলসনের দাবি, “কেউ কেউ চক্রান্ত করে চন্দন কাঠ পাচারে আমার নাম জড়িয়ে দিয়েছিল৷ অভিযোগ সত্য হলে, আইন ছেড়ে কথা বলত না৷ তাছাড়া বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আমি শীর্ষ নেতৃত্বের পরামর্শ অনুযায়ী দলের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করব৷ আমি নিশ্চিত সেই সময় দলের সব স্তরের নেতা-কর্মীরাই আমায় সমর্থন করবেন৷” তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আর এই বিরোধ থাকবেনা৷ দলের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চলবেন তিনি৷ তাঁকে সভায় মেনে নেবেন। ,তিনি মনপ্রাণ দিয়ে বিজেপির হয়েই কাজ করবেন ফলে কোনো অসুবিধা হবে না।

 

বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “বিধায়কদের দলে যোগদানের বিষয়টি সরাসরি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দেখেন৷ কালচিনির বিধায়ক দলে যোগ দিচ্ছেন কি না তা আমি জানিনা৷ এ টুকু বলতে পারি, তৃণমূলের কোনও বিধায়ককে দলে নেওয়ার ব্যাপারে শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিলে আমরা সবাই তা মানতে বাধ্য৷ সেক্ষেত্রে কোথাও নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোন বিরোধ থাকলে দলের তরফে তাঁদের বোঝানো হবে৷”

ফলে আপাতত দলের নেতা কর্মীদের কতটা বোঝাতে সক্ষম হবেন নাকি বিদ্রোহ আরো বাড়বে তার দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিকমহল। তবে যদি দলের অন্দরের এই ক্ষোভকে মেটাতে অক্ষম হয় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তবে এর ফসল ঘরে তুলবে তৃণমূল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!