এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > মসজিদ তৈরীর নামে জঙ্গিদের জন্য ফান্ড তৈরী করত মাদ্রাসা শিক্ষক, গোয়েন্দা জেরায় একাধিক তথ্য

মসজিদ তৈরীর নামে জঙ্গিদের জন্য ফান্ড তৈরী করত মাদ্রাসা শিক্ষক, গোয়েন্দা জেরায় একাধিক তথ্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আবারও মসজিদ তৈরির নামে জঙ্গিদের জন্য ফান্ড তৈরি করতে দেখা গেল এক মাদ্রাসার শিক্ষককে। মুর্শিদাবাদের ঘটনার পর বস্তুত বঙ্গে যে দিন দিন জঙ্গি সংযোগ বেড়েই চলেছে সেই কথাই জানা গিয়েছিল। আর এই ঘটনার পর আবারও সেই ঘটনায় নতুন করে ঘি পড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

সম্প্রতি জানা গেছে, মুর্শিদাবাদের আল-কায়েদা শক্তিশালী করতে রাণীনগরের নজরানা গ্রামের জঙ্গী আব্দুল মোমিন মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পেশায় একজন মাদ্রাসার শিক্ষক, অত্যন্ত সাধারণ জীবন-যাপন করে এবং এলাকার যুবকদের আরবি শিক্ষার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পরিচিত ছিলেন তিনি।

সমাজে এভাবেই তাঁর গ্রহণযোগ্যতা গড়ে উঠলেও তিনিই যে গোয়েন্দাদের জেরাতে জঙ্গিদের ফান্ডের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছেন বলে দাবি করবেন, একথা মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই এলাকা থেকেই এক মাস আগে এনআইএর জালে ধরা পড়েছিল আল মামুন কামাল। আর সেই তার সঙ্গেই একইসঙ্গে জঙ্গি ফান্ডের অর্থ সংগ্রহ করতে কামাল কাজ করতো সে কথাও জানা গেছে।

ইতিমধ্যে সে কয়েক লক্ষ টাকা সেই জন্য দান করেছে বলেও জানা গেছে পুলিশ সূত্রে। তথ্য অনুযায়ী, রাণীনগরে তার বাড়ি থাকলেও তিনি রায়পুরে তাঁর শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। আর সেখানকারই এক মাদ্রাসায় বিগত ৮ বছর ধরে শিক্ষকতা করতেন বলে জানা গেছে। তাঁর পরিবারের তরফে জানা যায়, মাদ্রাসা থেকে পাওয়া পাঁচ হাজার টাকাই তিনি সংসারেই দিতন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই বাকি টাকা তিনি কোথায় খরচ করতেন সেই বিষয়ে গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন বলে জানা গেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন ধর্মীয় গুরুর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। এমনকী জঙ্গি তহবিলের জন্য তার পরিচিত বেশ কয়েকজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং সৌদি আরব থেকে টাকা এসেছে বলেও জানা গেছে। কারণ তাঁর এক আত্মীয় সৌদি আরবে কাজ করত। আর তাঁর কাছে থেকেই সে বিভিন্ন সময়ে টাকা নিয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোমিন এতটাই প্রশিক্ষিত যে সে কোনও বিষয়েই মুখ খুলতে চাইছে না। যে কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলেই সে ‘জানি না’ বলে এড়িয়ে যাচ্ছে। তবে মোমিন যে দীর্ঘদিন ধরেই আল-কায়েদা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সেকথা নিশ্চিত বলে জানা গেছে। তাই সন্দেহভাজন আরও বেশ কয়েকজনকে এনআইএ জেরা করার পর ছেড়ে দিলেও তাকে হেফাজতে রাখা হবে যে জানা গেছে।

অন্যদিকে, স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, মোমিন নাকি অত্যন্ত গুছিয়ে কথা বলতে পারত। সেইসঙ্গে গ্রামে সকলের সঙ্গেই তার ভালো সম্পর্ক ছিল বলেও জানা যায়। তাই তাকে সন্দেহ করার মতোই কেউ কিছু দেখেননি তাঁরা। তবে সে প্রায়ই নওদাপাড়া গ্রামে যেত বলেও জানা গেছে।

বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার সে সেখানে যেত বলে জানা গেছে। সেখানে ধৃত আরেক জঙ্গি মামুন কামালের বাড়িতে সে একাধিকবার বৈঠক করেছে বলেও জানা যায়। এছাড়া রানিনগরের গোপন ডেরায় সে সংগঠনের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করার জন্য আলোচনায় বসেছিল বলেও জানা গেছে গোয়েন্দাদের তরফে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!