এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > প্রকাশ্য জনসভা থেকে কেন্দ্রের ঘুম উড়িয়ে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

প্রকাশ্য জনসভা থেকে কেন্দ্রের ঘুম উড়িয়ে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি মুখ্যমন্ত্রীর


দেশের জনসাধারণের মধ্যে ইতিমধ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে নানান বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। শুধু বিরোধী নয়, সাধারণ মানুষের অভিযোগ, দেশের অস্থির পরিস্থিতিতে এই বিভ্রান্তি দূর করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এখনো পর্যন্ত কোন রকম চেষ্টা করছেনা। বরং বিভিন্ন বিক্ষিপ্ত তত্ত্ব ধরা পড়ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের গলায়। পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যে এনআরসি ও সিএএ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তৃণমূলের তরফ থেকে জোর প্রচার চালানো হচ্ছে রাজ্যে, নো এনআরসি, নো সিএএ।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী জনসভা করেন নদীয়ার হবিবপুর অঞ্চলে। এই জনসভা থেকেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি প্রসঙ্গে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি করতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকারকে তাঁর মৃতদেহের উপর দিয়ে এই আইন বলবৎ করতে হবে। এর পরেই বিজেপিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ এবং তিনি এ সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকদের কাছ থেকে পেয়েছেন।

অন্যদিকে, বিভিন্ন সংস্থার বেসরকারিকরণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যেভাবে মুড়ি-মুড়কির মতন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির বেসরকারিকরণ হচ্ছে, তাতে এবার থেকে বাজারে আলু পটলের মতন বিএসএনএল, এয়ার ইন্ডিয়া, রেল বিক্রি হবে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকেও তীব্র কটাক্ষ করেছেন। পয়লা ফেব্রুয়ারি অর্থমন্ত্রী যে বাজেট পেশ করেছেন, তার তীব্র সমালোচনা করেছেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আয়করের ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী দুটি স্ল্যাব তৈরি করে দিয়েছেন। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষ করে বলেন, সরকারের দাবি, কাঁচা কলা খাও নয়তো পাকা কলা খাও। দুটো একসঙ্গে খাওয়া যাবেনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর সাথে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন আরও বলেন কেন্দ্রীয় সরকার বাজেটে যে দাবি করেছে ব্যাংক বীমার তা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। উল্লেখ্য, গত পয়লা ফেব্রুয়ারি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করতে গিয়ে বলেন, এবার থেকে ব্যাংক ফেলিওর হলে বা ব্যাংকের ভরাডুবি হলে ব্যাংকের গ্রাহকরা 5 লাখ টাকা পর্যন্ত বীমা পাবেন। এই বীমা আগে ছিল এক লাখ টাকার। এদিন বাজেটে তা বাড়ানো হলো 5 লাখ টাকা পর্যন্ত। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরো দাবি করেন, আরবিআইয়ের আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে আসেন এবং কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা জানিয়ে যান।

মুখ্যমন্ত্রীর এই চাঞ্চল্যকর দাবির কথায় এই মুহূর্তে অবশ্য বিজেপির তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইতিমধ্যে বাংলার দরজায় কড়া নাড়ছে পুরসভার নির্বাচন এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবার কড়া হাতে পুরসভার নির্বাচন পরিচালনা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই পুরসভার নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এদিন হাবিবপুর সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী যে বক্তব্য রাখলেন, তা থেকে স্পষ্ট এই মুহূর্তে তিনি বাংলায় বিজেপির জন্য এক ছটাক জমিও ছাড়বেন না। আপাতত সম্পূর্ণ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!