এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ‘কাজ করেননি, সরিয়ে দেওয়া হয়েছে’ শিশিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অখিল!

‘কাজ করেননি, সরিয়ে দেওয়া হয়েছে’ শিশিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অখিল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –কাঁথির অধিকারী পরিবারের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা কি করবেন, সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর এক ভাই সৌমেন্দু অধিকারী যোগদান করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। তবে এখনও শুভেন্দু অধিকারীর পিতা শিশির অধিকারী পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। এছাড়াও তার ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সাংসদ।

স্বাভাবিকভাবেই তারা এখনও ঘাসফুল শিবিরে রয়েছেন। কিন্তু তারাও খুব তাড়াতাড়ি বিজেপিতে নাম লেখাতে পারেন বলে নানা মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাতে দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে শিশির অধিকারীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয় তার বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরিকে।

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনার পর ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্যজুড়ে। তাহলে কি এবার শিশির অধিকারীর ডানা ছাটার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস! কেন এই ভাবে তাকে সরিয়ে দেওয়া হল! আর এই পরিস্থিতিতে শিশির অধিকারীকে কেন তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই ব্যাপারে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সেই অখিল গিরি। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে এই দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া অখিল গিরি বলেন, “শিশিরবাবু কোনোদিন কোনো কাজ করেননি। সেই কারণেই সম্ভবত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে‌।” স্বাভাবিকভাবেই তার মুখ থেকে এই ধরনের মন্তব্য শিশিরবাবুর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দূরত্বকে আরও বাড়িয়ে দিল বলেই দাবি করছেন একাংশ। কেননা এখন পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অধিকারী পরিবারকে কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক করে এই অখিল গিরিকে বেশি পরিমাণে দায়িত্ব দিতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূলের একাংশ কার্যত নিশ্চিত, শুভেন্দু অধিকারী যখন বিজেপিতে গিয়েছেন, তখন তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ধীরে ধীরে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করবেন। তাই সময় থাকতে থাকতেই সেই অধিকারী পরিবারের কাছ থেকে ধীরে ধীরে সমস্ত দায়িত্ব এবার নিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার কারণে এদিন শিশির অধিকারীর মত প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে পাখির গিরিকে দেওয়ার পরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। আর অখিল গিরি যেভাবে শিশির অধিকারী কোনো কাজ করেননি, তাই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করলেন, তাতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, বহুদিন ধরেই এই মেদিনীপুরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী রয়েছে। অধিকারী পরিবার এতদিন তৃণমূলের নিয়ন্ত্রক ভূমিকায় থাকলেও, তাদের সঙ্গে খুব একটা বনিবনা হয়নি অখিল গিরির গোষ্ঠীর। কিন্তু এবার শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার সাথে সাথেই সেই অখিল গিরি এবং তার অনুগামীরা সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। তাদের হাতে আসতে শুরু করেছে একের পর এক ক্ষমতা।

সাম্প্রতিককালে শুভেন্দু অধিকারীর একটি মন্তব্যে ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে তার বাড়িতেও পদ্ম ফুটবে বলে দাবি করেন তিনি। আর এরপরই তার ভাই যোগদান করেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে‌। ধীরে ধীরে তার পিতা শিশির অধিকারী এবং তার আরেক ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীও পদ্মফুল শিবিরে নাম লেখাবেন বলে দাবি করেন একাংশ। আর এই পরিস্থিতিতে সোমবার দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরেই সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয় অখিল গিরিকে।

আর দায়িত্ব পেয়েই যেভাবে শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অখিলবাবু, তাতে খুব দ্রুত শিশিরবাবুর সঙ্গে তৃণমূলের মধুরেণ সমাপয়েৎ হতে পারে বলে দাবি করছেন একাংশ। তবে শেষ পর্যন্ত গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, অখিল গিরির এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা কোনো মন্তব্য করেন কিনা শিশির অধিকারী, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!