এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার কন্যাশ্রী-রূপশ্রী ঝাড়খন্ডেও ছড়িয়ে দিতে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে চলেছে ঘাসফুল শিবির

এবার কন্যাশ্রী-রূপশ্রী ঝাড়খন্ডেও ছড়িয়ে দিতে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে চলেছে ঘাসফুল শিবির

 

পশ্চিমবাংলায় তারা সীমাবদ্ধ থাকলেও, তৃণমূল কংগ্রেস নামটির আগে সর্বভারতীয় শব্দটি বসানো থাকে। তবে এতদিন সেইভাবে কোনও রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করতে দেখা যায়নি তাদের। যা নিয়ে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় সাফল্য পেয়ে তৃণমূলের ঘাড়ে অক্সিজেন ফেলার পর অভিযোগ করেছে, তৃণমূল একটা আঞ্চলিক দল।

তারা সর্বভারতীয় দলের মর্যাদা বুঝবে না। তবে এবার সেই বিজেপিকে চাপে রাখতে ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতে মরিয়া হয়ে উঠল বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, 81 আসনবিশিষ্ট ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচন আগামী 30 নভেম্বর থেকে শুরু হবে।

ইতিমধ্যেই 11 জন প্রার্থী তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা করেছেন। আরও বেশ কিছু আসনে প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে সমস্ত রাজনৈতিক দল নিজ নিজ পর্যায়ে লড়াই করলেও তৃণমূল এখন অন্য ধাপে লড়াই করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে এই ঝাড়খন্ডে সাফল্য পেতে তৃণমূল এখন বাংলার উন্নয়নমূলক কাজকেই মানুষের কাছে নিয়ে যেতে শুরু করেছে। যার মধ্যে কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মত প্রকল্পগুলো যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনই জমি আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহানুভবতার কথা তুলে ধরে বিজেপির ওপর ঝাড়খন্ডে চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিমবাংলায় ক্ষমতায় আসা তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ মানুষের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছে। যে ক্ষেত্রে কন্যাশ্রী সারাবিশ্বে মডেল আকার ধারণ করেছে। আর সেই কন্যাশ্রীকে নিয়ে গিয়েই ঝাড়খণ্ডের মানুষের সমর্থন নিজেদের বাগে আনতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূলের একাংশ বলছেন, যদি বিজেপিকে ঝাড়খন্ডে কুপোকাত করা যায়, তাহলে আগামী 2021 এর বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বাংলায় অনেকটাই ভালো ফল করতে সক্ষম হবে। তাই সেদিক থেকে পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খন্ডে এবার তারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে শুধু বাংলার উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে ঝাড়খণ্ডের মানুষের মন জয় করাই নয়, বাংলার হেভিওয়েট তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীদের ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী প্রচারেও আনতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ডের তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা বাংলার শ্রম এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “এবার ঝাড়খন্ডে এনডিএ ভেঙে গিয়েছে। প্রতিটি আসনেই বহুমুখী লড়াই। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা কমপক্ষে 40 টি আসনে লড়াই করার ব্যাপারে আশাবাদী। অন্যান্য নেতা, মন্ত্রীর যাবেন। প্রচারে যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।” সব মিলিয়ে বাংলার উন্নয়নের চিত্রকে ঝাড়খন্ডে তুলে ধরে বিজেপিকে বিপাকে ফেলতে লড়াইয়ের প্রস্তুতি তৃণমূল কংগ্রেসের। তবে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল এখানে আদৌ দাত ফোটাতে পারে কিনা, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!