এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কাটাকুটি খেলা শেষে মমতার মন্ত্রীসভায় কারোর গেল ডানা ছাঁটা, কারোর হল স্বপ্নের উত্তরণ!

কাটাকুটি খেলা শেষে মমতার মন্ত্রীসভায় কারোর গেল ডানা ছাঁটা, কারোর হল স্বপ্নের উত্তরণ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অভিজ্ঞতা এবং নতুন-পুরনোর সংমিশ্রণে এবারের রাজ্য মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর কোন কোন বিধায়ক তার মন্ত্রিসভায় জায়গা পাবেন, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে সোমবার 43 জন মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেন। বেশ কিছু ব্যাক্তি পুরনো হলেও, তাদের দায়িত্ব অদল বদল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেউ প্রথমবার মন্ত্রীসভায় জায়গা পেয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হয়েছেন।

আবার কেউ বা পুরনো সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যও থাকলেও নতুন সরকারে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পেয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই তৃতীয়বার তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্য মন্ত্রিসভায় সংমিশ্রণ এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যে সমস্ত বিষয়, ঠিক করা হয়েছে তা বলাই যায়। রাজ্য মন্ত্রিসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুখ এবং এতদিন খাদ্যমন্ত্রী থাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবার বনদপ্তরের মন্ত্রী হয়েছেন।

সেই জায়গায় মন্ত্রিসভায় এনে খাদ্য দপ্তরের দায়িত্ব রথীন ঘোষকে দিয়ে তার গুরুত্ব অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিক থেকে এবার রথীন ঘোষের রাজ্য মন্ত্রিসভায় উত্তোরন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ক্ষমতা যে অনেকটাই খর্ব করা হল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে প্রথম থেকেই তৃণমূল সরকারের আমলে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য গঠন করা হয়েছিল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর। প্রথমে গৌতম দেব এবং তার পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে সেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্ব কারও হাতে দেননি তিনি। বরঞ্চ নিজের হাতেই এই দায়িত্ব রেখেছেন। তবে সেই দপ্তরে সাহায্য করবার জন্য সাবিনা ইয়াসমিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে পঞ্চায়েত দপ্তর সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাতেই রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শিক্ষা দপ্তরে বড় রদবদল করা হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্রাত্য বসুর কাঁধে। অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়েছে শিল্প এবং পরিষদীয় দপ্তর। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য পরিবহন দপ্তর যেখানে মদন মিত্রকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল, সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হলেও ফিরহাদ হাকিমের ওপর।

এছাড়াও পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী থাকা অরূপ বিশ্বাসের হাতে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তর। তবে পূর্ত দপ্তরের দায়িত্ব পেয়েছেন শ্রম দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটক। অন্যদিকে বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী থাকা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে কৃষি দপ্তরের দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও আরও বেশ কিছু নতুন এবং পুরনো মুখদের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর দিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নিজের হাতে মোট ছয়টি দপ্তর রেখেছেন তিনি।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের মন্ত্রিসভা অত্যন্ত সচেতন ভাবেই সাজিয়েছেন। রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই তার প্রধান লক্ষ্য। তাই সেক্ষেত্রে বিগত দিনে দুইবার তৃণমূল সরকারের আমলে যারা গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন, তাদের অনেককেই কম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আবার নতুন ব্যক্তিদের মন্ত্রিসভায় এনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের জায়গা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে তৃতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্ত্রিসভা আগামী দিনে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কতটা সাফল্য পায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!