এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > নতুন ব্যাটন হাতে আসতেই দিলীপের দাবি উড়িয়ে বাংলায় বিজেপির নতুন চলার পথের সন্ধান শুভেন্দুর

নতুন ব্যাটন হাতে আসতেই দিলীপের দাবি উড়িয়ে বাংলায় বিজেপির নতুন চলার পথের সন্ধান শুভেন্দুর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পাওয়ার পরই এবার কি নিজের মত করে পথ চলতে শুরু করলেন শুভেন্দু অধিকারী? ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর রাজ্যে ক্রমাগত হিংসার ঘটনা বাড়তে শুরু করেছিল। 77 টি আসন পেয়ে বিরোধী দলের জায়গা দখল করা ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা-কর্মীদের ওপর বিভিন্ন জায়গায় হামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনকি এই ব্যাপারে প্রকাশ্যে লাগাতার হিংসা চলার ঘটনায় বিধানসভা অধিবেশন বয়কট করবেন দলীয় বিধায়করা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি‌।

স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধী দলের জায়গা পেতে না পেতেই এইভাবে অধিবেশন বয়কট করা উচিত হবে কিনা, তা নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কিন্তু এবার রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পাওয়ার পরই দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অধিবেশন বয়কট করার মন্তব্যকে কার্যত নস্যাৎ করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যার ফলে দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে দূরত্ব যেমন সামনে এল, ঠিক তেমনি দলীয় সভাপতির কথা কেন মানলেন না সদ্য দায়িত্ব পাওয়া বিরোধী দলনেতা, এখন তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

জানা গেছে, এদিন বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পাওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, বাইরে যেমন আন্দোলন চলছে, ঠিক তেমনই বিধানসভাতেও এই বিষয়ে তারা সরব হবেন। আর তার এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই এখন নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। দিলীপ ঘোষ কিছুদিন আগেই যেখানে হিংসা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের দলের বিধায়করা অধিবেশন বয়কট করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন, সেখানে 180 ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে কেন বিধানসভার অধিবেশনে অংশ নিয়ে প্রতিবাদ করার কথা বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

তাহলে কি দুই নেতার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে! কিন্তু বিজেপি যেখানে সাংগঠনিক এবং শৃঙ্খলা পরায়ন দল হিসেবে পরিচিত, সেখানে দলের রাজ্য সভাপতি এবং বিরোধী দলনেতার একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই ধরনের মত যে নানা মহলে ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি করেছে, তা বলাই যায়। বস্তুত, সোমবার বিজেপির পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী নাম ঘোষণা করা হয়।

আর তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। আর সেখানেই দিলীপ ঘোষ কিছুদিন আগে যেভাবে হিংসা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত দলীয় বিধায়করা অধিবেশনে যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন, সেই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয় অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলেকে। যার উত্তর দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্যজুড়ে ভোট পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের হিংসা চলছে। আমার লক্ষ্য হচ্ছে হিংসামুক্ত বাংলা গঠন করা। সরকার গঠন করতে না পারলেও প্রচুর মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন। তাদের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। বাইরে যেমন আন্দোলন চলছে, তেমনই সংসদীয় রীতি-নীতি এবং শিষ্টাচার মেনে বিধানসভাতেও আমরা এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানাব। মানুষের বক্তব্য পৌঁছে দেব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর স্বাভাবিক ভাবেই শুভেন্দু অধিকারী যখন এই বক্তব্য রাখছেন, তখন তার পাশেই বসে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যিনি কিছুদিন আগে হিংসা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত দলের কোনো বিধায়ক অধিবেশনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। ফলে রাজ্য সভাপতির পাশে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পাওয়া শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে কিছুদিন আগে করা দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে খন্ডন করে অধিবেশনে অংশ নেওয়ার কথা জানালেন, তা বিজেপির অন্দরমহলে দুই নেতার দুই মন্তব্যে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই এবার কি খেলা দেখাতে শুরু করলেন শুভেন্দু অধিকারী? বিজেপি দল সাংগঠনিক এবং শৃঙ্খলা পরায়ন বলেই পরিচিত। কিন্তু সেই দলে কেন দুই ধরনের নেতার দুই ধরনের মন্তব্য! এমনিতেই বিজেপি এবারের নির্বাচনে ভালো ফলাফল করতে পারেনি। বিরোধীদলের ক্ষমতা দখল করেছে। কিন্তু তারপরেও অধিবেশন বয়কট করার কথা বলে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

তবে এর মাঝেই বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব গ্রহণ করে দিলীপ ঘোষের সেই মন্তব্যকে কার্যত খন্ডন করে দিয়ে অধিবেশনে যে দল অংশগ্রহণ করবে, তা বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সব মিলিয়ে রাজ্য সভাপতি বনাম বিরোধী দলনেতার দ্বন্দ্ব কি বিজেপিতে শুরু হয়ে গেল! এখন এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!