কেন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে চায় তৃনমূল? কি রয়েছে গোপন অভিসন্ধি? একেবারে বোমা ফাটালেন বিজেপি নেতা তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য November 1, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বড়সড় জয় পাওয়ার পর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তৃণমূলের। ত্রিপুরা, আসাম, গোয়া সহ একাধিক রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের কাজে মন দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের আনাগোনা বাড়ছে উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যেও। তৃণমূল হঠাৎ কেন রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে চাইছে? এবার এই প্রসঙ্গেই বক্তব্য রাখলেন দাপুটে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তৃণমূলের গোপন অভিসন্ধির কথা প্রকাশ করে দিয়ে একেবারে বোমা ফাটালেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ জানালেন, তৃণমূল এখন একজনের জালে আটকে গেছে। আর সেই দালালের নাম হলো প্রশান্ত কিশোর। প্রশান্ত কিশোরকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন তিনি। তিনি আরো জানান যে, এর আগে সুদীপ্ত সেন একসময় বুঝিয়েছিলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হবেন। আর এখন প্রশান্ত কিশোর বোঝাচ্ছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু আসল পরিকল্পনা হলো অন্য। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিজেপি নেতা সজল ঘোষ জানালেন, আসল পরিকল্পনাটা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেভাবে হোক প্রধানমন্ত্রী করা যাবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানসিকভাবে অসুস্থ আছেন। এমন হলে তিনি আরও অসুস্থ হয়ে যাবেন। শারীরিকভাবেও অসুস্থ হয়ে যাবেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়ে ভাইপো সিংহাসনে বসে পড়বেন। এরপর তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি জানালেন, তৃণমূল যে সম্প্রদায়ের পা চাটে, তারা বাবাকে মেরে রাজা হয়। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পিসিকে মেরে হবেন। এভাবেই তৃণমূলকে নিয়ে একেবারে বোমা ফাটালেন বিজেপির এই দাপুটে নেতা। এদিকে সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আগামী লোকসভা নির্বাচনে ২৫ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছেন। তাঁর এই দাবিকে ঘিরে কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। সৌগত রায়ের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ জানালেন যে, সৌগত রায়, মদন মিত্র, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদের কথার কোন গুরুত্ব নেই। সৌগত রায় অনেক বয়স্ক মানুষ। কিন্তু তাঁর কথার কোন মূল্য নেই। তিনি হয়ত নিজেই এবার টিকিট পাবেন না। দুদিন বাদে বলা হবে যে, তৃণমূল ৪২ এ ৪২ পাবে। মানুষ যখন ভোট দেন, তখন তেলের দাম যেমন মনে রাখবেন, তার সঙ্গেই দেশের নিরাপত্তার কথাও মানুষ ভাববেন। নরেন্দ্র মোদী ছাড়া আর কেউ নেই। আবার ত্রিপুরাতে তৃণমূলের আনাগোনা, সংগঠন বিস্তার, বিজেপিকে হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, ত্রিপুরাতে তৃণমূলের একজনও নেই। সকলেই এখান থেকে যাচ্ছেন। যাদের টিভিতে দেখানো হচ্ছে ত্রিপুরাতে বিক্ষোভ করছেন, তারা সকলেই হলেন বাংলার মানুষ। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে জানান, তৃণমূল ট্যুরিজম করতে বেরিয়েছে। এর আগেও এরকম করেছে। আবার জনগণের ঠাশ ঠাশ চড় খাবে তৃণমূল। প্রসঙ্গত তৃণমূল যখন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার পরিকল্পনা করছে, তখন তৃণমূলের গোপন কথা ফাঁস করে দিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। এরসাথেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক বোমা ফাটালেন তিনি। তাঁর এই বিস্ফোরক বক্তব্যের জবাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কি বক্তব্য রাখা হয়? সেদিকেই দৃষ্টি থেকে সকলের। আপনার মতামত জানান -