এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বহিস্কৃত নেতা তৃণমূলের সভামঞ্চে দলের গঠনতন্ত্র নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপি নেতা !

বহিস্কৃত নেতা তৃণমূলের সভামঞ্চে দলের গঠনতন্ত্র নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপি নেতা !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো নীতি নেই বলে বারে বারে সরব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এক্ষেত্রে বারবার তাদের নেতাদের পক্ষ থেকে শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলের একটাই পোস্ট বাকি সব ল্যাম্পপোস্টে। এক্ষেত্রে তৃণমূলের কোনো উদ্দেশ্য বা বিধেয় নেই। আর এবার তৃণমূলের সদস্যপদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্য বিজেপির হেভিওয়েট নেতা সায়ন্তন বসু। সূত্রের খবর, রবিবার হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় বিজেপির পক্ষ থেকে একটি যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে উঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন সায়ন্তন বসু।

তিনি বলেন, “তৃণমূলে সদস্য গ্রহণের কোনো নিয়ম নেই। বিজেপির একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। আমরা ফোন করি। মেসেজ যায় সদস্যের কাছে। এটা আমাদের প্রমাণপত্র।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এখন তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়ে বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই এমতাবস্থায় তৃণমূলের গঠনতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে শাসক দলকে আরও কোণঠাসা করার চেষ্টা করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।

কিন্তু হঠাৎ তৃণমূলের সদস্যপদ নিয়ে তিনি এই ধরনের মন্তব্য করলেন কেন? জানা গেছে, কিছুদিন আগেই তৃণমূল নেতা কুশ বেরার হাত থেকে মেয়ের সম্মান বাঁচাতে মায়ের মৃত্যু হয়। আর তারপরেই সেই কুশ বেরাকে দল থেকে বহিষ্কার করে যেমন কংগ্রেস।

এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেই সায়ন্তন বসু বলেন, “কোচবিহারের যুব তৃণমূল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ফলাও করে সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছিল। কিন্তু পরেই আবার সেই তৃণমূল নেতাকে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের একটা অনুষ্ঠানে দেখা দিয়েছিল। দলের কোনো সদস্য নেই, কোনো বহিষ্কার নেই। দলের একজন নীতিনির্ধারক। তৃণমূলে তো যোগদান হয় না। বহিষ্কার কি করে হবে? তৃণমূলে সেই রকম কোনো প্রমাণপত্র আছে?”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে সায়ন্তন বসুর পাশাপাশি এদিন তৃণমূল কংগ্রেস ও পুলিশ প্রশাসনকেও কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “পুলিশের থেকে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস উঠে গেছে। আর সেই কারণে আগামী দিনে মানুষ সমাজ বিরোধীদের রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে মারবে। বিজেপি আসলে এই সমস্ত সমাজবিরোধীদের জেলের ভাত খাওয়ানো হবে। দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করে তাদের জেলের ভাত খাওয়ানো হবে।” আর রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথাতেই পড়েছে বিতর্ক।

অনেকে বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবে বিজেপি নেতা নেত্রীরা তৃনমূল কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, রাজনৈতিকভাবে তা স্বাভাবিকভাবে মনে হলেও, অনেক ক্ষেত্রে তারা অশালীন মন্তব্য করে ফেলছেন। রাজনীতি অপেক্ষা অশালীনতা বেশি পরিমাণে প্রাধান্য পাচ্ছে বলে মনে করছে একাংশ। তাই এই পরিস্থিতিতে যখন বিজেপি ক্ষমতায় আসবে বলে চেষ্টা করছে, তখন তাদের এই বিতর্কিত মন্তব্য তাদের অনেকটাই চাপে রাখবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!