এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ফের দলের দুর্নীতি নিয়ে সরব প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা, অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে শাসকশিবিরে!

ফের দলের দুর্নীতি নিয়ে সরব প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা, অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে শাসকশিবিরে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সম্প্রতি তৃণমূলে শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় দলের হেভিওয়েট জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে নেতাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্যোগের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যার পরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত নেতৃত্বদের সতর্ক করে শোকজ করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে বেশিরভাগ অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূলের নানা পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে।

কিন্তু এবার হাওড়ার পাঁচলা গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হতে দেখা গেল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান মুজিবর রহমানকে। যে ঘটনাকে কার্যত উলটপুরাণ বলেই দাবি করছে রাজনৈতিক মহল। যেখানে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানরা ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন, সেখানে শাসকদলের এই পঞ্চায়েত প্রধান দুর্নীতির অভিযোগে সরব হওয়ায় রীতিমতো অস্বস্তি বাড়বে তৃনমূলের বলে মনে করছে একাংশ।

জানা গেছে, পঞ্চায়েত প্রধান মুজিবুর রহমান তার গ্রাম পঞ্চায়েতের আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় 80% দুর্নীতি হয়েছে বলে হাওড়ার জেলাশাসকের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। যার ফলে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। যদিও বা প্রধান জেলাশাসকের কাছে এই অভিযোগ করলেও, তা সম্পূর্ণরূপে খারিজ করেছেন সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কণিকা নাগ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি প্রধানের দিকে পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “এই ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রধান নিজেই তৈরি করেছেন। আবার নিজেই অভিযোগ করছেন। আসলে প্রধানের এই তালিকায় অনেক নাম আছে। নিজের দোষ ঢাকতেই উনি এই সমস্ত কিছু করছেন।” উপ-প্রধানের অভিযোগ, 117 জনের লিস্ট 28 জনের নাম ভুয়ো রয়েছে। অন্যদিকে 48 জনের নাম ঢোকেইনি। এদিকে প্রধানের সঙ্গে বিজেপি যোগের অভিযোগ করে সরব হয়েছেন পাঁচলা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শেখ মেহেবুব আলম।

এদিন তিনি বলেন, “প্রধান কখন পঞ্চায়েতে আসেন, কখন যান, কেউ জানে না। প্রধান বিজেপির সাথে চক্রান্ত করে তৃণমূলের বদনাম করার জন্যই এই কাজ করছেন।” এদিকে তার বিরুদ্ধে উপপ্রধান থেকে শুরু করে অঞ্চল সভাপতি এই অভিযোগ তুললেও, তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন প্রধান মুজিবর রহমান।

এদিন তিনি বলেন, “এই তালিকা আমি তৈরি করিনি। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অভিযোগ শুনেই আমি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে তোলা সম্পূর্ণ অভিযোগ ভিত্তিহীন।” অর্থাৎ দুর্নীতি নিয়ে যখন তৃণমূল কংগ্রেস সরব হচ্ছে, ঠিক তখনই দলের বিরম্বনা বাড়িয়ে দিয়ে যেভাবে দুর্নীতি নিয়ে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করতে দেখা গেল তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধানকে, তাতে নিঃসন্দেহে চাপে পড়ল রাজ্যের শাসক দল।

এতদিন বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে তৃণমূলকে আক্রমণ করা হচ্ছিল। কিন্তু এবার যেভাবে তৃণমূলেরই প্রধান দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হল, তাতে শাসক দলের প্রতি বিরোধীদের আক্রমণের মাত্রা আরও অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!