এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বাংলায় কেন এমন বিপর্যয় ঘটলো বিজেপির? গোপন রিপোর্ট ঘিরে ঘুম উড়তে চলেছে বিজেপি পদাধিকারী নেতাদের

বাংলায় কেন এমন বিপর্যয় ঘটলো বিজেপির? গোপন রিপোর্ট ঘিরে ঘুম উড়তে চলেছে বিজেপি পদাধিকারী নেতাদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আশানুরূপ সাফল্য আসেনি। ২০০ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেও মাত্র ৭৭টি আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বিজেপিকে। দলের এই শোচনীয় পরাজয়ের কারণ নিয়ে চলছে অনুসন্ধানের পালা। নির্বাচনে বিজেপির এই পরাজয়ের কারণ নিয়ে সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট এসেছে রাজ্য বিজেপির হাতে। এই রিপোর্টের কিছুটা অংশ প্রকাশ্যে এসেছে। দলের অস্বস্তি বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে এই রিপোর্ট।

নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ হিসেবে এই রিপোর্টে প্রথমেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, অন্যান্য রাজনৈতিক দল মূলত তৃণমূল থেকে এসে যারা বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন দুর্নীতিগ্রস্ত ও জনপ্রিয়তাহীন। তাই মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেশ কিছু বিজেপি নেতা একাধিকবার উগ্র-সাম্প্রদায়িক বক্তব্য রেখেছেন। তাই সংখ্যালঘুরা বিজেপির প্রতি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। অর্থাৎ মেরুকরণের রাজনীতি বিপদ ডেকে এনেছে বিজেপির।

জয় শ্রীরাম ধ্বনির সঙ্গে একাত্ম হতে পারেনি বাঙালি। শহরের মানুষ, মধ্যবিত্ত মানুষ ও গ্রাম বাংলার হিন্দুদের এই শ্লোগান কাছে টানতে পারেনি। কারণ, বাংলায় রামচন্দ্রের পুজো দেখা যায় না। শুধুমাত্র বজরংবলীর পূজার সময় রামচন্দ্রর ছবি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দুর্গাপুজো, কালীপুজো বাঙালির কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু সেগুলোকে কোন গুরুত্ব দেয়নি বিজেপি। আর বিজেপি প্রার্থীদের নির্বাচনী খরচ করতে দলের পক্ষ থেকে যে অর্থ দেয়া হয়েছিল, তা তাঁরা ঠিকমতো খরচ করেছেন কিনা? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে রিপোর্টে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রিপোর্টে জানানো হয়েছে, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার রাজ্যে আসায়, অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও হেভিওয়েটরা বারবার রাজ্যে আসার কারণে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতাদের গুরুত্ব অনেকটা ম্লান হয়ে গেছে। তারকা প্রচারের ক্ষেত্রে ভিড় হয়েছে। কিন্তু সেভাবে ভোট পড়েনি। একাধিক জেলায় জনসভা থেকে হিন্দি ভাষায় বিজেপি নেতারা বক্তব্য রাখার কারণে বহু বাঙালি তা বুঝতে পারেননি। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, গ্রাম বাংলার মহিলারা বিজেপির বক্তব্য একেবারেই বুঝতে পারেন নি। যার ফলে ভোটবাক্সে তার প্রভাব পড়েনি।

রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিজেপির কিছু জেলা নেতার হঠাৎ করে জীবন যাত্রার ব্যাপক উন্নতি, বিলাসিতা দলের প্রতি মানুষকে বিরূপ করে তুলেছে। এই রিপোর্টে শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায় সহ ৩০ জন নেতার জীবনযাত্রার নৈতিকতা নিয়ে বহু অভিযোগ করা হয়েছে। রিপোর্টে বিজেপির পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়েছে আরএসএসের নিষ্ক্রিয়তাকে। জানানো হয়েছে, জঙ্গলমহলে কোথাও কোথাও বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সংঘাত বেধেছে আরএসএস নেতাদের। আশঙ্কা করা হয়েছে, এখন বিজেপির যেসব বিধায়ক আছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই দল ছেড়ে চলে যেতে পারেন।

এই রিপোর্ট সামনে আসতেই দলের অস্বস্তি যথেষ্টভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির এই শোচনীয় পরাজয় দলকে নানাভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। এরপর উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে নির্বাচন আছে। নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের দিকে আনতে যথেষ্ট রকম পরিকল্পনাগত রদবদলের প্রয়োজন আছে বিজেপির, এমনটাই মনে করছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। বিশেষত, বাংলার মাটিতে বিজেপি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা? সেদিকে নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!