কেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিদায় মনোরঞ্জন ব্যাপারীর, কারণটি স্পষ্ট করলেন লকেট চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য July 4, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। গত শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর একটি পোস্ট নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠেছিল। যেখানে তিনি লিখেছিলেন যে, তিনি হাঁপিয়ে যাচ্ছেন। সত্যিই তাঁর খুব কষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছে, রাজনীতিতে এসে তিনি বোধহয় ঠিক করেননি। যখন তিনি দূরে ছিলেন, তখন তেমন ভাবে তিনি এসব কিছু জানতেন না। তখন তিনি কিছুটা সুখে ছিলেন। এখন সব দেখে, জেনে, সরাসরি রাজনীতির যুক্ত হয়ে আর কোন রাতেই ভালো করে তিনি ঘুমাতে পারছেন না। এক কষ্ট নিয়ে মাঝ রাতে উঠে তিনি পায়চারি করছেন। এত অভাবী, দুঃখী মানুষ, এত সমস্যা তাদের। সকলের আশা-ভরসার কেন্দ্রে এখন এসে দাঁড়িয়ে পড়েছেন তিনি। তাঁকে ঘিরে মানুষের অনেক আশা-প্রত্যাশা। যেন তাঁর কাছে কোনো জাদুকাঠি আছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ফেসবুকে এই পোষ্ট দেবার একদিনের মধ্যেই হঠ্যাৎ ফেসবুক থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকার থেকেও বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আপাতত এই সমস্ত কিছু থেকে বিদায় নিয়ে শুধু মানুষের জন্য তিনি কাজ করবেন বলে জানান। তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর এই ধরণের পদক্ষেপের কারণ সম্পর্কে বিশেষ বক্তব্য রাখলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, বাংলার মানুষ রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কোন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না। সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু রাজ্য সরকার সেকাজ করতে একেবারেই ব্যর্থ। তিনি জানান, তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় আছে ঠিকই, কিন্তু তৃণমূল বিধায়কেরা রাজ্যে কোন কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। তাই হতাশ হয়ে এই ধরণের বার্তা দিয়েছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন যে, কেন রাজনীতিতে আসা ঠিক হয়নি বলেছেন বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী? তা নিয়ে তিনি সঠিকভাবে কিছু বলতে পারবেন না। কিন্তু বিধায়ক হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে, ক্ষমতায় এলেই সবকিছু হয় না। রাজ্য সরকারের অনেক বিধায়ককেই কাজ করতে দেয়া হয়না। নেতা-মন্ত্রীদের টাকা খাওয়া চলছে। যা বুঝতে পেরে হয়তো তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ধরনের পোস্ট করেছিলেন। পরে হয়তো তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ধমক খেয়েছেন। আর তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আপনার মতামত জানান -