এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কেন্দ্রের নির্দেশ উড়িয়ে জোর করে লকডাউন করতে গিয়ে এবার বড়সড় বিপাকে পড়তে চলেছে মমতার সরকার?

কেন্দ্রের নির্দেশ উড়িয়ে জোর করে লকডাউন করতে গিয়ে এবার বড়সড় বিপাকে পড়তে চলেছে মমতার সরকার?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি আনলক ফোরের বিজ্ঞপ্তি জারি সময় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এবার থেকে কোনো রাজ্য পূর্ণাঙ্গভাবে নিজেদের মতো করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সরকার কেন্দ্রের এই বিজ্ঞপ্তি জারির অনেক আগেই সেপ্টেম্বর মাসের 7, 11 এবং 12 তারিখ পূর্ণাঙ্গ লকডাউনের কথা ঘোষণা করে দিয়েছিল। তবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যখন এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়, তখন মনে করা হয়েছিল যে, কেন্দ্রীয় সরকার যখন এই নতুন নিয়মের কথা বলল, তখন রাজ্য সরকার হয়ত বা এই ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত পাল্টে নেবে।

কিন্তু সেরকম কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে উল্টে 7 সেপ্টেম্বরের পর এবার 11 এবং 12 ই সেপ্টেম্বর পূর্ণাঙ্গ লকডাউন হতে চলেছে রাজ্যে। যার ফলে মেডিক্যাল প্রবেশিকা নিটের পরীক্ষার্থীরা চরম সমস্যার মুখে পড়েছেন। তবে রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এক পরীক্ষার্থী। যার ফলে রাজ্য সরকারের ঘুম উড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, লকডাউনের মধ্যে কিভাবে তারা তাদের পরীক্ষা দিতে যাবে, তা নিয়ে সমস্যায় পড়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের পরীক্ষার্থী জয়শ্রী পাল। জানা গেছে, তার সিট পড়েছে শিলিগুড়ি মাটিগাড়ায়। ফলে লকডাউনের মধ্যে তার যাতায়াতের একটা বিরাট সমস্যা থেকে যাচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার রাজ্য সরকারকে পাল্টা চাপে ফেলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জানা গেছে, বুধবার বিচারপতি অরিন্দম সিনহা একটি নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, পরীক্ষাকেন্দ্রের কাছাকাছি ভালো কোনো জায়গায় সেই পরীক্ষার্থী এবং তার অভিভাবকের থাকার ব্যবস্থা রাজ্য সরকারকে করতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর কোথায় সেই থাকার ব্যবস্থা করা হল, তা সরকারি আইনজীবীর মাধ্যমে বৃহস্পতিবারের মধ্যে রাজ্যকে আদালতে জানিয়ে দিতে হবে বলে খবর। আর এই গোটা ঘটনায় এবার রাজ্য সরকার ব্যাপক চাপে পড়লে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা লকডাউন যখন রাজ্য সরকার পালন করছে, তখন তাদের ঘাড়েই পাল্টা পরীক্ষার্থীর সুবিধার সমস্ত ব্যাপারটি চাপিয়ে দিয়ে রাজ্যকে বার্তা দিল হাইকোর্ট।

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই পরীক্ষার্থীর আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং সুকান্ত ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার সব রাজ্যকে জানিয়ে দিয়েছে কনটেইনমেন্ট এলাকা বাদে অনুমতি ছাড়া কোথাও লকডাউন করা যাবে না। কিন্তু তারপরেও গত 20 আগস্ট রাজ্য সরকার 7, 11 এবং 12 সেপ্টেম্বর লকডাউন ঘোষণা করে। এই লকডাউনকে বাতিল করার আবেদন জানানো হয়। এর কারণে গত 27 শে আগস্ট বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির প্রবেশিকা পরীক্ষা অনেকে দিতে পারেননি।”

আর এরপরই বিচারপতিরা সমস্ত দিক শোনার পর মামলাকারীর থাকার ব্যবস্থা রাজ্যকেই করতে হবে বলে জানিয়ে দেন। এদিকে পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা ভেবে শনিবার লকডাউনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছে বাম এবং কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লিখেছেন বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী। তবে একদিকে আদালতের চাপ এবং অন্যদিকে বিরোধী দল বাম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই লকডাউন প্রত্যাহারের ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে আর্জি জানানো হলেও, রাজ্য এখন কি সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!