এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কেন্দ্রের নতুন ঘোষণায় স্বস্তির হাওয়া জিও-এয়ারটেল-ভোডাফোন গ্রাহকদের জন্য!

কেন্দ্রের নতুন ঘোষণায় স্বস্তির হাওয়া জিও-এয়ারটেল-ভোডাফোন গ্রাহকদের জন্য!

লাইসেন্স ফি এবং স্পেকট্রাম ব্যবহারের চার্জ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সম্প্রতি মাথায় হাত পড়েছিল দেশের তাবড় টেলিকম সংস্থাগুলির। ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়ার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় 28 হাজার 309 কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানা যায়। এই টাকা যদি সরকারকে এখন তাঁদের দিতে হয়, তাহলে নেটওয়ার্ক পরিকাঠামো সম্প্রসারণের জন্য তাঁদের হাতে আর কোনো অর্থ থাকবে না। প্রতিযোগিতার বাজারে অন্যরকম সমস্যায় পড়েছে দেশের টেলিকম সংস্থাগুলি। তবে এবার তাঁদের এই বিপদ থেকে বাঁচাতে সরকারের তরফ থেকে বকেয়া অর্থ মেটানোর মেয়াদসীমা বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়া, রিলায়েন্স জিও টেলিকম সংস্থার স্পেকট্রাম ফি বাবদ আর্থিক ঋণ মেটানোর সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ঋণ শোধের জন্য আপাতত দু’বছরের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে সংস্থাগুলিকে। ফলে উপরিউক্ত টেলিকম সংস্থাগুলি বর্তমানে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পেরেছে। এই অতিরিক্ত সময়সীমা না পাওয়া গেলে চূড়ান্ত আর্থিক সংকটের মধ্যে তাঁদের ব্যবসা চালানো অনিশ্চিত হয়ে পড়তে বলে সূত্রের দাবি।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে লাইসেন্স ফি ও স্পেকট্রাম ফি বাবদ যে বিশাল আর্থিক ঋণের বোঝা টেলিকম সংস্থাগুলির ঘাড়ে চেপেছে, তাতে তাঁদের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশাল অসুবিধা পরিলক্ষিত হয়। যার ফলে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের শরণাপন্ন হয় বকেয়া মেটানোর জন্য বাড়তি সময় চেয়ে। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার টেলিকম সংস্থাগুলির আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে টেলিকম সংস্থাগুলিকে বকেয়া ঋণ মেটানোর জন্য দু’বছরের সময়সীমা দেন। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে একটি অর্থনৈতিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পরবর্তীতে সাংবাদিক বৈঠকে নির্মলা সীতারামন টেলিকম সংস্থাগুলির উদ্দেশ্যে বকেয়া মেয়াদ কমানোর সিদ্ধান্তটি ঘোষণা করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল নির্মলা সীতারমণ সাংবাদিক বৈঠকে জানান, “টেলিকম সংস্থাগুলির আবেদন এবং সচিব কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তাঁরা স্পেকট্রামের বকেয়া মেটানো আপাতত দু’বছরের জন্য পিছিয়ে দিচ্ছেন। তবে সেই বকেয়া বাকি সময়ে কিস্তিতে মেটাতে হবে টেলিকম সংস্থাগুলিকে।” এরফলে আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস টেলিকম সংস্থাগুলির অন্দরে। সূত্রের খবর, এই সিদ্ধান্তের ফলে টেলিকম সংস্থাগুলি কাঁধে যে বিপুল ঋণের বোঝা চেপেছে তা কিছুটা হলেও কমলো।

টেলিকম সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে টেলিকম সংস্থাগুলি আশার আলো দেখছে। যে বিপুল আর্থিক বোঝা তাদের ঘাড়ে চেপেছিল, তা মেটানোর জন্য কিছুটা সময় তাদের অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। টেলিকম সংস্থার আবেদনে সরকার সাড়া দেওয়ায় এই মুহূর্তে চাপমুক্ত টেলিকম সংস্থাগুলি। আপাতত টেলিকম সংস্থাগুলি একযোগে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ডিসেম্বর থেকে গ্রাহক মাসুল বাড়ানোর। মনে করা হচ্ছে, গ্রাহক মাশুল বাড়িয়ে তাঁরা তাঁদের আর্থিক সঙ্কট কিছুটা হলেও কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। আপাতত মাশুল বাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে টেলিকম সেক্টরে একটা চাপানউতোর চলছে। সমগ্র পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে দেশের টেলিকম বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!