প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –কিছুদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহধর্মীনি রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরাকে জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মূলত কয়লা কাণ্ডে এই জেরা করা হয়েছিল বলেই খবর। স্বাভাবিক ভাবেই এর ফলে রীতিমত অস্বস্তি বাড়ে তৃণমূল নেতৃত্বের। তৃণমূলের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনায় চক্রান্তের অভিযোগ করা হয়। কিন্তু এবার শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকার স্বামী এবং শ্বশুরকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গেছে, আগামী 15 মার্চ তাদের সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকাকে জেরা করার সময় বেশ কিছু তথ্য জানতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরা খুব একটা সদর্থক জবাব দিতে পারেননি বলেই খবর। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নম্বর এবং ব্যবসা সম্পর্কে তার স্বামী এবং শ্বশুর দেখাশোনা করেন বলে জানিয়ে দেন। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই তদন্ত প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকার শ্বশুর এবং স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে নির্বাচনের দামামা যখন বেজে গিয়েছে, তখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই অতি সক্রিয়তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। অনেকেই বলছেন, আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারকে চাপে রেখে এখন বিজেপি প্রতিহিংসাপরায়ন আচরণ করতে শুরু করেছে। তবে যে যাই বলুন না কেন, কোটা পরিস্থিতি যে ক্রমশ ঘোরালো হয়ে উঠছে এবং তা যে তৃণমূলকে যথেষ্ট চাপে ফেলে দিচ্ছে, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকার শ্বশুর এবং স্বামীকে জেরা করা হলেও তারা তদন্ত প্রক্রিয়ায় কতটা সহযোগিতা করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।