প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হয়, তার জন্য প্রথম থেকেই দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। এমনকি সেই দাবি নিয়ে তারা হাইকোর্ট পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। যার ফলে আদালতের পক্ষ থেকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশ। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেই পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।

আর এই পরিস্থিতিতে যখন ক্রমাগত উত্তপ্ত হতে দেখা যাচ্ছে ভাঙ্গর থেকে শুরু করে রাজ্যের একাধিক এলাকাকে, তখন তা নিয়ে আরও বেশি করে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, নির্বাচনের আগেই যদি এই সন্ত্রাস হয়, তাহলে নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট হলে কি পরিস্থিতি হতে পারে! তবে ভাঙ্গরের এই অশান্তি নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। তার দাবি, ভাঙ্গরে এই ধরনের অশান্তি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার চেষ্টা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এদিন ভাঙরে নিহত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে পৌঁছে যায় তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্য যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ, তৃণমূল বিধায়ক স্নেহাশীষ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। আর সেখানেই ভাঙরের অশান্তি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সায়নীদেবী। তিনি বলেন, “অশান্তি তো করতে হবে, কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনী আনতে হবে ভাঙরে অশান্তি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার চেষ্টা করছেন আইএসএফ।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, সায়নী ঘোষের এই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাহলে কি তিনি বোঝাতে চাইলেন যে, ভাঙড়ের এই অশান্তির পেছনে পরিকল্পনা রয়েছে আইএসএফের ! তৃণমূল এই ঘটনায় কিছুই করেনি  ? পাশাপাশি যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এত চর্চা চলছে, ইচ্ছাকৃতভাবে বিরোধীরা অশান্তি করেই কি সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার জন্য চেষ্টা করছে ! সায়নী ঘোষের তোলা প্রশ্ন কার্যত শোরগোল ফেলে দিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে ।