ক্ষমতায় আসার পরেও কাটমানির অভিযোগ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরবার তৃণমূল! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য July 15, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে তৃনমূলের বিরুদ্ধে অন্যান্য ইস্যু ব্যবহার করার পাশাপাশি ব্যাপক দুর্নীতি এবং কাটমানি আদায়ের কথা তুলে ধরতে দেখা যায় রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে। কিন্তু তারপরেও তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মানুষ রাজ্যের ক্ষমতায় বসিয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। আর ক্ষমতায় আসার পরেই কোনোভাবেই যে কাটমানি নেওয়ার ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না, তা জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও তার দলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ কমছে না। এবার সোয়াপ মেশিন ব্যবহার করে শ্রমিকদের কাছ থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। যদিও বা অভিযোগ ওঠার সাথে সাথেই তৃণমূলের সেই পঞ্চায়েত সদস্য আর এক সদস্যের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ তুলেছেন। যার ফলে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই একদিকে কাটমানির অভিযোগ এবং অন্যদিকে গোষ্ঠী কোন্দলে এখন রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে শাসক দল। সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের এক সদস্যের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। যেখানে অভিনব উপায় প্রয়োগ করে তিনি এই কাটমানি সংগ্রহ করতে তিনি শ্রমিকদের কাছে সোয়াপ মেশিন নিয়ে গিয়ে তা ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ। আর এরপরই গোটা ঘটনার প্রতিবাদ শুরু করেন শ্রমিকরা। যার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বারবার দলের শীর্ষ তলা থেকে কাটমানি না নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও, যেভাবে একজন পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে অভিনব উপায়ে সেই কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল, তাতে শাসকদলের দিকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে বিরোধীরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বিকাশ বসাক। পাল্টা তিনি গোটা ঘটনায় আর এক পঞ্চায়েত সদস্যের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই শ্রমিকদের পক্ষ থেকে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত যেভাবে আর এক পঞ্চায়েত সদস্যের দিকে আঙুল তুললেন, তাতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে প্রকাশ্যে চলে এল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার জেরে রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবির। যদিও বা গোটা ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেনুরঞ্জন সরকার। এদিন তিনি বলেন, “কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। তবে দুই পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি খুব তাড়াতাড়ি মিটিয়ে ফেলা হবে।” সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, একদিকে কাটমানির অভিযোগ, অন্যদিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, দুইকে সামাল দিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -