এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আর বিল নয় এবার একেবারে আইন হয়ে গেল বিজেপির স্বপ্নের CAB! মাধ্যরাত্রেই ফাইলে রাষ্ট্রপতির সই

আর বিল নয় এবার একেবারে আইন হয়ে গেল বিজেপির স্বপ্নের CAB! মাধ্যরাত্রেই ফাইলে রাষ্ট্রপতির সই


সমস্ত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএবিতে সই করে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ফলে আর বিল নয় – আজ মধ্যরাত থেকেই তা আইনে পরিণত হল। লোকসভায় বিজেপির একক যা সাংসদ সংখ্যা ছিল, তাতে এই বিল পাশ করা আটকাবে না জানাই ছিল। কিন্তু বিজেপির ভয় ছিল, বিরোধীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এই বিল রাজ্যসভায় না আটকে যায়।

কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছিলেন – রাজ্যসভায় এই বিল পেশ হলে – তা পাশ করানোর অঙ্ক হাতে নিয়েই করবেন অমিত শাহ। কেননা এর আগেও বিজেপি – এই বিল লোকসভায় পাশ করিয়েও, রাজ্যসভায় পেশ করে নি, জেতার অঙ্ক না থাকায়। তাই, এবারে যখন রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও, বিজেপি রাজ্যসভায় এই বিল নিয়ে গিয়েছিল – তখনই মনে করা হচ্ছিল – তা পাশ করা সময়ের অপেক্ষা। আর বাস্তবে হয়েছিলও তাই – লোকসভার পরে রাজ্যসভাতেও এই বিল পাশ করিয়ে নেন অমিত শাহ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তারপরেই নিয়ম অনুযায়ী, তা আইনে পরিণত করতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিতে হত একেন্দ্রিয় সরকারকে। ফলে ফাইল পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতি ভবনে – আর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বিলকে আইনে পরিণত করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ না করেই মধ্যরাত্রে সেই ফেলে সই করে দেন তিনি। ফলে, এবার থেকে প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসিক ও খ্রিস্টানরা ভারতে এসে থাকলে তাঁরা এ দেশের নাগরিকত্ব পাবেন।

কেন্দ্রীয় স্বারষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিলেন – ভারতের প্রতিবেশী ৩ দেশ – বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান, তাদের সংবিধান অনুযায়ী মুসলিমকে নিজেদের প্রধান ধর্ম হিসাবে মেনে নিয়েছে। ফলে, ওই ৩ দেশে অ-মুসলিমরা সংখ্যালঘু এবং গত ৬০ বছরে ওই দেশে এই সংখ্যালঘুদের সংখ্যা গড়ে ২০% কমেছে – ফলে তাদের ভারত শরণার্থী হিসাবে মেনে নিয়ে আশ্রয় দেবে। এর সঙ্গে এই দেশের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ভীত হওয়ার কোনো কারণ নেই। যদিও এই নিয়ে তীব্র বিরোধিতায় নেমেছে বিরোধীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!