এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > চাপ বাড়ছে বিজেপির, সাংগঠনিক পরিবর্তন হতেই, সিআইডির জালে হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ, জোর জল্পনা!

চাপ বাড়ছে বিজেপির, সাংগঠনিক পরিবর্তন হতেই, সিআইডির জালে হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ, জোর জল্পনা!


কৃষ্ণগঞ্জ এর তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের পর থেকেই উঠে এসেছে একের পর এক তথ্য। সে সময় তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়, পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করা হয় এবং এই খুনের পেছনে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট বিজেপি নেতার নাম করা হয়। অন্যদিকে বিজেপি শিবির থেকে অভিযোগ করা হয়, ইচ্ছাকৃতভাবেই রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। সত্যজিৎ বিশ্বাস খুন হওয়ার পর থেকেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। তুঙ্গে উঠেছে তৃণমূল বিজেপির চাপানউতোর।

অন্যদিকে সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তবে তিনি আগাম জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন বলেই এতদিন শোনা যাচ্ছিল। তবে এবার আবার সত্যজিৎ বিশ্বাস এর খুনের মামলা নিয়ে সিআইডি রীতিমতো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যার জেরে সিআইডির মুখোমুখি হতে হাজির দিতে হলো বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে। এই মর্মে মঙ্গলবার রাতে সিআইডির পক্ষ থেকে তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।

সেই মতো বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটায় সিআইডির দপ্তরে হাজিরা দেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। অন্যদিকে খবর, গত মার্চেই জগন্নাথ সরকার কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন। তবে সেই জামিন শর্তসাপেক্ষ ছিল বলে জানা গিয়েছে। জামিনের শর্ত হিসেবে বলা হয়েছিল, যখনই এই হত্যার তদন্তের স্বার্থে জগন্নাথ সরকারকে ডাকা হবে, তখনই তিনি পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করবেন। এই শর্তের কথা মাথায় রেখেই তিনি সিআইডি দপ্তরে হাজির হন বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উল্লেখ্য, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সরস্বতী পুজোর রাতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এর বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে কার্তিক বিশ্বাস, মনোজিৎ মন্ডল সহ চার অভিযুক্ত। যদিও এই হত্যাকাণ্ডে বিজেপির জোড়া সংসদের নাম জড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে তুমুল হৈচৈ হয় রাজ্য রাজনীতিতে। যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই সত্যজিৎ বিশ্বাস খুন হন। যদিও জগন্নাথ সরকারকে সন্দেহের তালিকা থেকে কোনদিনই বাদ দেয়নি সিআইডি। এর আগেও দুবার তাঁকে ম্যারাথন জেরা করে সিআইডি।

তবে এখনো সত্যজিৎ বিশ্বাস এর খুনের কিনারা কিন্তু হয়নি। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে কোণঠাসা করার জন্যই নতুন করে আবার সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় সিআইডির পক্ষ থেকে বিজেপি সাংসদকে ডেকে পাঠানো হলো। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সত্যজিৎ বিশ্বাস এর খুনের ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। আপাতত সত্যজিৎ বিশ্বাস এর খুনের তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয়, সে দিকেই লক্ষ্য এখন সবার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!