এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কিসের লকডাউন? খোলা মদের দোকান, পুলিশি তৎপরতার মধ্যেও চলল চুটিয়ে রাস্তায় ক্রিকেট!

কিসের লকডাউন? খোলা মদের দোকান, পুলিশি তৎপরতার মধ্যেও চলল চুটিয়ে রাস্তায় ক্রিকেট!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট: পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা মত 11 সেপ্টেম্বর গোটা রাজ্যে লকডাউন ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই লকডাউনের কথা ঘোষণা করা হলেও, সেখানে কোনরূপ বিধিনিষেধ মানতে দেখা গেল না সাধারন মানুষকে। উল্টে অন্যান্য দিনের মতই স্বাভাবিক জনজীবন দেখতে পাওয়া গেল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় এই লকডাউন ভঙ্গ করার ছবি সামনে উঠে আসতে শুরু করেছে। যার ফলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউনের কথা ঘোষণা করা সত্ত্বেও, কেন পুলিশ এই লকডাউন পালন করাতে কোনরূপ কড়া পদক্ষেপ নিল না, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

জানা গেছে, মদের দোকান থেকে বাজার সমস্ত কিছুই এদিন খোলা থাকতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, লকডাউনে কাউকে বাড়ির বাইরে না বেরোনোর কথা বলা হলেও ক্রিকেট খেলা থেকে শুরু করে মাছ ধরার আসর বসতেও দেখা যায়। তবে সেবক রোডে পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির কাছে একটি মদের দোকান খোলা থাকলে তা বন্ধ করতে উদ্যোগী হয় পুলিশ। আর তারপরেই সেই মদের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে হংকং মার্কেটে ক্রিকেট খেলা শুরু হলে পুলিশ ভ্যান যেতেই সবাই পালিয়ে যান।

এদিকে আশ্চর্যজনকভাবে পুলিশের সামনে পড়ে রীতিমত হতভম্ব হয়ে বাইক ঘুরিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন দুই বাইক আরোহী। আর তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক শহর ড্রেনে পড়ে যান তারা। অর্থ্যাৎ মানুষের মনে লকডাউনে বাইরে বেরোনো নিয়ে যে ভয় একেবারেই ছিল না, তা ভাবাটা ভুল হবে। কিন্তু তা স্বত্ত্বেও 11 সেপ্টেম্বরের এই লকডাউনকে হালকাভাবে নিয়েই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় স্বাভাবিক জনজীবন লক্ষ্য করা গেছে। একাংশ বলেছেন, যদি পুলিশের পক্ষ থেকে আরও একটু কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হত, তাহলে হয়ত সাধারণ মানুষের বাইরে বেরোনো অনেকটাই আটকানো সম্ভব হত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন ঠিকমত পালন না হলেও, জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং, কোচবিহার, দিনহাটা, তুফানগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সফলভাবে লকডাউন পালন করা হয়েছে। বন্ধ ছিল দোকান বাজার। রাস্তাতেও সেভাবে মানুষকে বের হতে দেখা যায়নি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বিনা কারণে রাস্তায় বের হওয়া নিয়ে 36 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এখন থেকে আর কোনো রাজ্য নিজের মতো করে পূর্ণাঙ্গ লকডাউনের কথা ঘোষণা করতে পারবে না।

কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রের এই বিজ্ঞপ্তি ঘোষণার অনেক আগেই সেপ্টেম্বর মাসে তিন দিন লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছিল। আর সেই মোতাবেক 7 তারিখ লকডাউনের পর 11 এবং 12 সেপ্টেম্বর এই লকডাউন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে 12 সেপ্টেম্বর লকডাউনের বিষয়টি বাতিল করেছে রাজ্য সরকার। তবে 11 সেপ্টেম্বর যে লকডাউন কড়াকড়ি ভাবে পালন করা হবে, তা কার্যত ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যেও যেভাবে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় সেই লকডাউনকে হালকা হবে নিয়ে জনতা জনার্দন রাস্তায় বেরোলেন, তাতে সাধারণ মানুষের হুশ আর কবে ফিরবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। কিন্তু এত সব কিছুর মধ্যেও যেভাবে সেই লকডাউন পালন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে তৎপরতা পালন করা হল, তাতে আরও একটু তৎপর হলে হয়ত বা মানুষ যতটুকু বাইরে বেরোচ্ছেন, তাও আটকানো যেত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!