এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কি আবার পালটে যাবে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল? চাপানউতোর তুঙ্গে

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কি আবার পালটে যাবে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল? চাপানউতোর তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভার নির্বাচন মিটে গেছে অনেকদিন। ফলাফলও বেরিয়ে গেছে। তৃণমূল বিপুল আসনে জিতেও গেছে। কিন্তু এখনো বিধানসভা নির্বাচনের উত্তেজনা বর্তমান। তবে সেই উত্তেজনা এখন কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরেই সীমাবদ্ধ। কার্যত বিধানসভা নির্বাচনের বেশ কিছু ফলাফল নিয়ে সন্দেহ রয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি উভয় পক্ষেরই। এবং তাই তাঁরা প্রত্যেকে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। 292 টি আসনের মধ্যে 15 টি আসনে কারচুপির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।

তবে এই মামলাগুলির মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হলো নন্দীগ্রাম মামলা, কারণ হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার বিপরীতে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু প্রথম দফায় ফলাফল অন্য এসেছিল। সেখানে জয় পেয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাই নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তৃণমূল নেত্রী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। পাশাপাশি একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেসের আরও চার প্রার্থী ভোটে কারচুপির মামলা দায়ের করেছেন। একই সাথে বেশ কয়েকজন বিজেপি প্রার্থীও ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে।

এই তালিকায় যেমন পাণ্ডবেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারি রয়েছেন, ঠিক সেভাবেই মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে সহ অন্যান্যরা রয়েছেন। ইতিমধ্যে জিতেন্দ্র তিওয়ারির মামলা প্রাথমিকভাবে গ্রহণ করে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নরেন চক্রবর্তীকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। একইসাথে মহিষাদল, ময়না, রানীগঞ্জ, জলপাইগুড়ি, মানিকতলা, বৈষ্ণবনগর বিধানসভার ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। শুক্রবার মালদার বৈষ্ণবনগর বিধানসভার ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা দায়ের হয়েছে তাতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বৈষ্ণবনগরের জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একই সাথে নির্বাচন কমিশনকেও নোটিশ দেওয়ার কথা বলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক। অন্যদিকে বৈষ্ণবনগর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী স্বাধীন সরকারের আইনজীবিদের কাছ থেকে জানা গেছে- ইভিএম, ভিভিপ্যাট সহ যাবতীয় নথি এবং ভিডিও রেকর্ডিং রক্ষণাবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী 20 শে আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি বলে জানা গিয়েছে। একইসাথে শুক্রবার বনগাঁর দক্ষিণ বিধানসভার ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে মামলার শুনানি হয়েছে। সেখানেও বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের যাবতীয় তথ্য, ভিডিও রেকর্ডিং সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আলোরানী সরকার মামলা করেছেন।

তিনি তাঁর এলাকার বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে হেরেছেন। কিন্তু আলোরানী সরকারের অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী মিথ্যে তথ্য দিয়েছেন যেমন হলফনামায়, ঠিক সেরকম সাইলেন্ট পিরিয়ডে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন। একই সাথে আধা সেনাবাহিনী ওই কেন্দ্রে প্রভাব খাটিয়েছে। এই সূত্রে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রভাব খাটিয়েছে বলে কি একটি নির্বাচনকে পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া যায়?

আগামী 30 শে জুলাই বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। সবমিলিয়ে ভোট মিটে গেলেও এখনও পর্যন্ত ফলাফল নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য রয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কলকাতা হাইকোর্টে যেভাবে দফায় দফায় মামলা হয়েছে তাতে বিধানসভা ভোটের রেজাল্ট কিন্তু আবার পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে কার ভাগে কত আসন আসবে তা অবশ্য এখনই বলা যাচ্ছেনা। তবে রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে শুরু হয়ে গেছে চাপানউতোর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!