এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > এবার মানবাধিকার কমিশনের সাথে বিজেপি যোগের প্রমাণ, ব্যাপক চাঞ্চল্য

এবার মানবাধিকার কমিশনের সাথে বিজেপি যোগের প্রমাণ, ব্যাপক চাঞ্চল্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে কার্যত ব্যাপক চাপের মুখে রাজ্য সরকার বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে বরাবরই রাজ্যের গেরুয়া শিবির ভোট পরবর্তী রাজনৈটিক হিংসা নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছিল। পাশাপাশি রাজ্যপালও ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে ব্যাপক সরব হয়েছিলেন। হাইকোর্টের তরফ থেকেও রাজ্যকে ভর্ৎসনা করা হয়। আর এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট কার্যত একেবারে কোণঠাসা করে দিল বর্তমান তৃণমূল সরকারকে। সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত চালিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে একটি মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু সেই রিপোর্ট দুদিনের মধ্যেই সর্বসমক্ষে এসে গেছে এবং জানা যাচ্ছে, একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ রয়েছে এই রিপোর্টে। অন্যদিকে এবার কমিশনের অন্যতম সদস্য আতিফ রশিদকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জাতীয় কমিশনের রিপোর্টকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। আর সেদিকেই ইঙ্গিত দিল আতিফ রশিদের রাজনৈতিক পরিচয়। তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য, বিজেপির বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষে থাকা এই আতিফ রশিদকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য করা হয়েছে। আর সেখান থেকেই পরিষ্কার রাজনৈতিক অভিসন্ধি কতদূর কাজ করেছে এই রিপোর্টে।

অন্যদিকে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় তৃণমূলের অন্যতম আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, বর্তমানে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাজ্যে ভোট পরবর্তী সময়ে অশান্তির ঘটনায় মানবাধিকার কমিশনের অন্যতম সদস্য আতিফ রশিদ গেরুয়া শিবিরের অন্যতম সদস্য। তাঁকে বিভিন্ন সময় বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এবং যুব সংগঠন ও যুব মোর্চার সর্বভারতীয় পদে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে এই আতিফ দিল্লির সংখ্যালঘু মোর্চারও শীর্ষ পদে ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে আতিফ রশিদ তাঁর দিকে রাজনৈতিক ইঙ্গিত আসামাত্রই ব্যাপক প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি পাল্টা জানিয়েছেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অংশ হওয়ার পর থেকে তাঁর সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই। সেক্ষেত্রে তাঁর পরিচয়ের দিকে নজর না দিয়ে বরং কমিশনের দেওয়া রিপোর্টের দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে কোন রিপোর্ট তৈরি করেনি। যা দেখেছে, যা শুনেছে সেগুলি ভিডিও এবং ছবি করা হয়েছে। ও সেই অনুযায়ী রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে তিনি পাল্টা তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে জানিয়েছেন, যদি রিপোর্ট নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আদালতে রাজ্য সরকার অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করুক। এই মুহূর্তে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট সামনে আসার পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন। অন্যদিকে এই রিপোর্ট সামাল দিতে রাজ্যের তৃণমূল সরকার এবার কি বক্তব্য পেশ করে সেদিকে নজর থাকছে। হাইকোর্টে আগামী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে 22 শে আগস্ট।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!