এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > কলকাতাকেও কি খাগড়াগড় করার পরিকল্পনা ছিল জেএমবি জঙ্গিদের? গোয়েন্দাদের দাবিতে বাড়ছে চাঞ্চল্য

কলকাতাকেও কি খাগড়াগড় করার পরিকল্পনা ছিল জেএমবি জঙ্গিদের? গোয়েন্দাদের দাবিতে বাড়ছে চাঞ্চল্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে বিস্ফোরণ ঘটেছিল খাগড়াগড়ে। একটি বাড়িতে থাকা বোমার কারখানায় বোমা তৈরি করতে গিয়েই ঘটেছিল এই বিস্ফোরণ। যার মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি। এবার কলকাতা থেকে ধরা পড়েছে তিন জেএমবি জঙ্গী। যারা হলো নাজিউর রহমান, মিকাইল খান, রবিউল ইসলাম। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, খাগড়াগড়ের মতো কলকাতা ও কলকাতার নিকটেও বোমা তৈরীর কারখানা গড়ার চেষ্টা ছিল এই জঙ্গিদের।

এ প্রসঙ্গে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই কলকাতায় আনাগোনা ছিল এই সন্দেহভাজনদের। কখনো ছাতা ছাড়াই, কখনো মশারি বিক্রি করতে দেখা যেত তাদের। ১৮০০ টাকা করে তারা ঘর ভাড়া দিত। নিজেদের ভারতীয় বলে পরিচয় দিয়ে তারা ঘর ভাড়া নিয়েছিল। শাকিল নামে এক ব্যক্তি তাদের আধার কার্ডের ব্যবস্থা করে দেয়। তবে সন্দেহভাজনদের কারও সঙ্গে মিশতে খুব একটা দেখা যায়নি। তাদের বাড়িভাড়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল সেলিম নামে এক সন্দেহভাজন। তার খোঁজ করছে পুলিশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গোয়েন্দারা আরও জানিয়েছেন যে, নাজিউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সীমান্ত বাহিনীতে নিযুক্ত ছিল। জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করে দেয়া হয়। অস্ত্রের প্রশিক্ষণ যেমন আছে, তেমনি বোমা তৈরিতে সিদ্ধহস্ত সে। এই তিনজনের বিরুদ্ধেই বাংলাদেশের একাধিক থানায় অভিযোগ আছে। জঙ্গি তহবিল করতে একটি শাখা তৈরি করেছিল তারা। শহরের বিভিন্ন ব্যাংক ও বড় বড় ব্যবসায়ীর কাছে তথ্য পৌঁছে দিত। সোশ্যাল মিডিয়ার জঙ্গী সংগঠনের হয়ে প্রচার চলত। বড় জায়গা ভাড়া নিয়ে সেখানেই বোমা তৈরীর কারখানা করার চেষ্টা ছিল তাদের। তাদের ডাইরিতে জেএমবি, আল-কায়েদা, আইএস নেতা, একাধিক ব্যবসায়ী ও বহু ব্যক্তির মোবাইল নাম্বার পাওয়া গেছে।

এ প্রসঙ্গে জনৈক পুলিশ কর্তা জানালেন যে, তাদের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল কিনা? তাদের সঙ্গে কারা কারা যুক্ত আছে? সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, এই সন্দেহভাজনের কাছ থেকে জেহাদি কার্যকলাপের তথ্য, লিফলেট, পুস্তিকা পাওয়া গেছে। যা দেখে মনে হচ্ছে, রাজ্যে ঘরে ঘরে বোমা তৈরির প্রচার ছিল তাদের। ১৪ দিন তাদের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তবে সন্দেহভাজনরা ধরা পড়লেও, এদের মূল পান্ডা সেলিম মুন্সি উধাও। সেই এদের মূল চালিকাশক্তি। সে পালিয়ে থাকতে পারে বাংলাদেশে। তার জোর খোঁজ চলছে। লালবাজারে সন্দেহভাজনদের জেরা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করেছেন। আজ বা কাল এনআইএর জেরা করা হতে পারে এই সন্দেহভাজনদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!