এখন পড়ছেন
হোম > খেলা > কোলকাতা লীগে আজ নামছে ইস্টবেঙ্গল? কোন অঙ্কে জয়ের কথা ভাবছেন সুভাষ ভৌমিক?

কোলকাতা লীগে আজ নামছে ইস্টবেঙ্গল? কোন অঙ্কে জয়ের কথা ভাবছেন সুভাষ ভৌমিক?


হাড্ডাহাড্ডি লড়াই-এর পথে টালিগঞ্জ এবং ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি সুভাষ ভৌমিকের দক্ষ লাল হলুদ জার্সি এবং মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা। লক্ষ্য কোলকাতা লীগের ট্রফি জেতা। সম্প্রতি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে কোয়েস গাঁট বাধায় সদস্য-সমর্থকদের প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে রয়েছে। নবম বার ম্যাচে লাল হলুদ ঝান্ডাই উড়বে,এমনটাই আশা করে বসে আছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। 

তবে প্রত্যাশার চাপ খেলোয়ারদের উপর পড়তে দিতে দেননি কোচ। ইস্টবেঙ্গলের গ্রীনরুমে ঢুলে জয়ের দুটো মন্ত্র দিলেন সুভাষ বাবু এদিন। প্রথমত, নিজের জন্য না খেলে দলের হয়ে খেলতে।একসঙ্গে লড়ার পরামর্শ দিলেন। দ্বিতীয়ত,’ডু ইট’ স্লোগানে উজ্জীবিত করলেন লাল হলুদ জার্সিদের। ডোন্ট কুইটে থেকে প্রথমের এনটি এবং পরের কিউ ইউটা ছেঁটে ফেলার নির্দেশ দিলেন। এবং কোনো রকম নাটকীয়তা না করেই বললেন,স্বপ্নপূরণের ভীত হল আই লিগ ট্রফি জয়। আসল লক্ষ্য তো সর্ব সেরা ফুটবলার হওয়া।

উল্লেখ্য,গত সপ্তাহ থেকেই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেলোয়ারদের অনুশীলন চালিয়েছেন সুভাষ বাবু। অন্যদিকে, বাধ্য হয়ে মধ্যমগ্রাম মাঠকে অনুশীলনের ক্ষেত্র হিসাবে বেছে নিতে হয়েছিল টালিগঞ্জ শিবিরকে। বিরোধী দলের কোচ সুভাষ ভৌমিক বলে নয়,গোটা ইস্টবেঙ্গল দলটাকে নিয়েই চাপে আছেন মনোরঞ্জন বাবু। রিচার্ড প্রথম থেকে দলে পেলেও বিদেমহ এবং মিনার্ভার স্ট্রাইকার সদ্য তিন দিন আগে দলে ঢুকেছেন। তাই ঘরের ছেলেদের মধ্যে উল্লেখ্য,অসীম বিশ্বাস,ফুলচাঁদ,অ্যান্টনি,কুজুর,প্রহ্লাদ, অয়ন দের সঙ্গে বোঝাপড়া তৈরি হওয়ার বেশি সময় পাওয়া যায়নি।

এতেই সোনায় সোহাগা ইস্টবেঙ্গলের।সুভাষ জানালেন,আমনাকে খেলাতে চাননা। রিজার্ভ বেঞ্চেই রাখবেন তাকে। ওদিকে কাশিম আইদারার ছাড়পত্রও মিনার্ভা থেকে এসে গেছে। সইও হয়ে গেছে। কাজেই সমস্যা নেই কোনো। সুভাষ ভৌমিক ৪-১-৪-১ ছকে দল সাজানোর পরিকল্পনা করেছেন,এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। চার ব্যাকে চুলোভা,কিংশুক,কৌশিক,ফানাই এবং ফ্রন্টে কমলপ্রীতকে রাখার সম্ভাবনা। এছাড়া মাঝখানে লালরিনডিকা এবং সঞ্চয়ন ও কুকির মধ্যে একজনের থাকার কথা ছিল কিন্তু তার পরিবর্তে কাশিম আসতে পারে। উলিংয়ে রালতে ও ব্রেন্ডম,সুরাবুদ্দিনের মধ্যে দুজন থাকবে। ওপরে থাকতে পারে বালি এবং গগনদীপ। ওদিকে, জবি জাস্টিন কুঁচকির চোটের কারণে দল থেকে আপাতত বাইরে রয়েছে। বিরোধী দল টালিগঞ্জের খেলা না দেখলেও তাঁদের আক্রমণ নিয়ে মনে মনে একটা ছক করাই আছে সুভাষের। সেটা বুঝিয়েও দিয়েছেন লাল-হলুদ জার্সিদের। কৌতুক করে বললেন এদিন,টালিগঞ্জের কোচের কাছ থেকে সব জেনে নিয়েছেন তিনি চা-বিস্কুট খাইয়ে। তারপর আবার অভিজ্ঞ ভাবটা বজায় রেখে বললেন,আধুনিকতার আদলেই সব দলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এখন। কাজেই প্রতিপক্ষে ছোট মনে করা অযৌক্তিক।

এর পাশাপাশি, কোচ মনোরঞ্জন সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় সুভাষ বাবু জানান,যার ঝুলিতে আই লিগের একটা ট্রফি রয়েছে তাকে গুরুত্ব না দেওয়াটাই বোকামি। তবে একই ঘরের ছেলেদের মধ্যে লড়াই হচ্ছে বলে,আবেগের জায়গাটাকে তেমন প্রশ্রয় দিলেন না তিনি। জানালেন,’ঘরের ছেলে বলে কিছু হয় না,সকলেই যে যার স্থানে পেশাদার।’ উল্লেখ্য,এখন ম্যাচে জয়ের প্রতি পাখির চোখ করে বসে আছেন সুভাষ-মনোরঞ্জনরা। টানটান উত্তেজনা দুই তরফেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!