এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনার অবস্থা কি আরও ভয়াবহ? মর্গে আর জায়গা না থাকায় এবার ৬ টি ডিপ ফ্রিজ কলকাতা মেডিক্যালে

করোনার অবস্থা কি আরও ভয়াবহ? মর্গে আর জায়গা না থাকায় এবার ৬ টি ডিপ ফ্রিজ কলকাতা মেডিক্যালে


করোনার জেরে বাংলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বা শরীরে করোনার লক্ষ্মণ থাকা মৃতদেহের সংখ্যা। কার্যত হাসপাতালগুলোর মর্গে মৃতদেহ রাখার আর জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অনেকেই দাবি করছিলেন। ইতিমধ্যেই করোনা পরিস্থিতিতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সহ রাজ্যের মোট ৬৮ টি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসাবে চিহ্নিত করে রাজ্য। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা বর্তমানে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মর্গ পরিপূর্ণ হয়েছে মৃতদেহতে।

জানা গেছে গত ৪৮ ঘণ্টায় মেডিক্যাল কলেজে মারা গেছেন মোট ১৬ জন। হাসপাতাল সূত্রের খবর হাসপাতালের মর্গে ৫ টি মৃতদেহ রাখার ব্যবস্থা আছে। জানা গেছে পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালের অ্যাসিস্টেন্ট সুপারকে মৃতদেহ ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে আনা হয়েছে। হাসপাতালের তরফ থেকে বিষয়টি জানিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে চিঠিও পাঠানো হয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতাল থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীরা ভেন্টিলেশন পরিস্থিতিতে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

চিকিৎসা শুরুর কিছুক্ষনের মধ্যেই রোগী মারা যাচ্ছে। ফলত মৃতের সংখ্যা ক্রমাগতই বাড়ছে, যার ফলে মর্গে জায়গা মিলছে না মৃতদেহ রাখার। এদিন হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয় করোনা ছাড়াও মানুষ মারা যাচ্ছে SARI (Severe Accute Respiratory Infection) এ আক্রান্ত হয়ে। কার্যত যথেষ্ট চিন্তা দায়ক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে মেডিক্যাল কলেজে এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চিঠি মঞ্জুর করেছে স্বাস্থ্য ভবন। মৃতদেহ রাখার জন্য নতুন করে ৬ টি ডিপ ফ্রিজের ব্যবস্থা করা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজে।

সেক্ষেত্রে মৃতদেহ রাখার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১ টি। প্রসঙ্গত করোনা মোকাবিলার জন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তৈরি করা হয়েছে ফাইট ম্যাপ। যার মাধ্যমে রোগীরা হাসপাতালের কোথায় গেলে কি চিকিৎসা পাবেন তা জানতে পারবেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে করোনা পজিটিভ সন্দেহভাজন ব্যাক্তিকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে গ্রিন ফার্স্ট ফ্লোর অর্থাৎ দোতলায়। এরপর নাক বা গলা থেকে নমুনা নেওয়া হবে এবং রক্ত ও ডিম্বাণু বা শুক্রাণু নিয়ে সেখান থেকে সংক্রমণের টেস্ট করা হবে। রিপোর্ট যদি নেগেটিভ আসে তবে সেই ব্যাক্তিকে গ্রিন থার্ড বা ফোর্থ ফ্লোরে পাঠানো হবে।

যদি ব্যাক্তির শরীরে পরবর্তীকালে কোনো উপসর্গ পাওয়া যায় তবে গ্রিন থার্ড ফ্লোরে সি সি ইউ তে তাকে ভর্তি করা হবে। এছাড়াও ওই ম্যাপে উল্লেখ থাকছে অন্যান্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগীকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে। রোগীর যদি হার্টের সমস্যা হয়, ভেন্টিলেশন, ডায়ালিসিসের প্রয়োজন হয় তবে সেক্ষেত্রেও তৎপর থাকবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকি রোগী সুস্থ হওয়ার পর কিভাবে ছুটি মিলবে তার খসরাও দেওয়া আছে ওই ফাইট ম্যাপে এমনটাই সূত্রের খবর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!