এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এক ইঞ্চি জমি ছাড়ারও প্রশ্ন নেই – শাসকদলের হেভিওয়েট প্রচার তারকা প্রার্থীকে ঘিরে

এক ইঞ্চি জমি ছাড়ারও প্রশ্ন নেই – শাসকদলের হেভিওয়েট প্রচার তারকা প্রার্থীকে ঘিরে

চেতলায় কোলকাতা পুরসভার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনকে ঘিরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে এখন। আগামী ৬ জানুয়ারি ভোট৷ মাঝে আর মাত্র একটা দিনের অপেক্ষা। লড়াইটা চতুর্মুখী। তৃণমূল ছাড়াও উপনির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে দাঁড়িয়ে বিজেপি,বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। এই নির্বাচন নিয়ে এতো চর্চার কারণ এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন কোলকাতার নয়া মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

এই উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা,তবে নির্বাচনী প্রচার নিয়ে কোনো খামতি রাখতে রাজি নন ফিরহাদ হাকিম। চেতলা হাট রোড,রাখালদাস আঢ্য রোড দুর্গাপুর সেতু সংলগ্ন বস্তি থেকে শুরু করে অভিযাত আলিপুর এলাকাতে শুধুই নজরে পড়ছে ববি হাকিমের লম্বা লম্বা কাটআউট,ব্যানার এবং দলীয় পতাকা।

চেতলার সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় নিজে গিয়ে তিনি ভোটের প্রচার করছেন। তাঁর মানবিক মুখ দেখে এলাকার বস্তির মানুষ থেকে শুরু করে অট্টালিকাবাসী সকলেই তাকে দেখে বলেছেন,‘আপনি মন্ত্রী। মেয়রও। ব্যস্ত মানুষ। অনেক কাজ করতে হয়। নিশ্চিন্তে থাকুন। আসার দরকার নেই।’

জেতা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও নির্বাচনী প্রচার নিয়ে কোনো কার্পন্য করতে চাইছেন না তিনি। ছাড়তে চাইছেন না বিরোধীদের এক ইঞ্চি জমিও। স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে বললেন যে তাঁর ছোট থেকে বড় হওয়া এই চেতলাতেই। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশই হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। দলনেত্রীর সৈনিক হিসাবেই কাউন্সিলর থেকে মন্ত্রী এবং এখন মেয়র হয়েছেন তিনি। জয় নিশ্চিত জেনেও শুধুমাত্র এলাকাবাসীর আশীর্বাদ নিতেই তিনি মানুষের দোরগোড়ায় এসেছেন বলেই জানালেন।

প্রসঙ্গত,সম্প্রতিই মাসখানেক আগে কোলকাতা পুরসভার মেয়র হয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। পুরআইনের নিয়ম অনুসারে,কোলকাতা পুরসভার মেয়র হতে গেলে কোনো ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হওয়াটা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ববি হাকিম কাউন্সিলর না থাকায় শুধুমাত্র তাকে মেয়রের কুর্সিতে বসানোর জন্য পুর আইন সংশোধন করা হয়েছে।

তাতে বলা হয়েছে,মেয়র পদে যে কেউ বসতেই পারেন তবে তাঁকে দায়িত্বে আসার ছ’মাসের মধ্যে কোনো ওয়ার্ড থেকে জিততে হবে। আর সেকারণেই ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে এই অসময়ে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। আর ফিরহাদকে জায়গা করে দিতেই ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের পদ থেকে সরে গিয়েছেন মেয়রের প্রিয় ডাক্তারবাবু কাউন্সিলর প্রণব বিশ্বাস। সেই উপনির্বাচনের প্রচার নিয়েই তোড়জোড় শুরু করেছেন ফিরহাদ হাকিম।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দিনদুয়েক আগে ফিরহাদ হাকিমের সমর্থনে টালিগঞ্জ এবং যাদবপুর এলাকার ১৪ জন দলীয় কাউন্সিলরকে নিয়ে এক মহামিছিলে যোগ দেব আরেক হেভিওয়েট রাজ্যস্তরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বিকালে এই মিছিল শেষে ববি হাকিম বলেন,‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য জুড়ে কর্মযজ্ঞ চলছে। চেতলার মানুষও তা জানেন এবং তার শরিক হতে চান।’’ তবে তৃণমূলের তুলনায় বাকি দলগুলো প্রচারে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। বামফ্রন্ট,কংগ্রেসের তুলনায় বিজেপি একটু এগিয়ে রয়েছে বলেই অভিমত বিশ্লেষকদের।

উপনির্বাচনে বিজেপির তরফ থেকে প্রার্থী হয়েছেন জীবনকুমার সেন। ২০১৫ সালের মতো এবারি তৃণমূলকে জোর টক্কর দেবে বিজেপি। উল্লেখ্য,২০১৫ সালে বিজেপি এখানের উপনির্বাচনে দ্বিতীয় হয়েছিল। অন্যদিকে বামফ্রন্টের তরফ থেকে ভোট দাঁড়িয়েছেন শিশির কুমার দত্ত। প্রচারে বামেরা অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও জয়ের উদ্যোম একফোঁটাও কম নেই লাল শিবিরের। গতবারের থেকে এবার আরো ভালো ফল করার দাবী করলেন তিনি।

কারণ জানতে চাইলে বক্তব্যে জানালেন,‘‘একটি দল নিজেদের কাউন্সিলরদের ভিতর থেকে কাউকে মেয়র করতে পারল না। এটা মানুষ ভাল চোখে দেখছেন না।’’ কংগ্রেস প্রার্থী অনিমেষ ভট্টাচার্যের তেমন কোনো মন্তব্য পাওয়া না গেলেও কংগ্রেসও নিজেদের মতো করে প্রচার কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে।

উল্লেখ্য,৮২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় সাড়ে ৩৩ হাজার ভোটার রয়েছেন। ২০১০ সালের ভোটে ১০ হাজারেরও বেশি ভোটের ফারাকে জিতেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তারপর তিনি মন্ত্রী হওয়ার পর ২০১৫ সালের পুরভোটে তৃণমূল প্রার্থী প্রণববাবু জিতেছিলেন ৮ হাজারের বেশি ভোটে৷ এবার ফিরহাদকে জায়গা দিতেউ প্রণববাবু স্বেচ্ছায় জায়গা ছেড়ে দিলেন। এই উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!