কলকাতায় জায়গা অপ্রতুল, তৃণমূলের ব্রিগেডের কর্মী সমর্থকদের হাওড়াতেও ব্যবস্থায় দেড় লক্ষ ডিম কলকাতা রাজ্য January 17, 2019 আর মাত্র দুদিনের অপেক্ষা! তারপরই তৃণমূলের সেই বহু কাঙ্খিত সর্বভারতীয় ব্রিগেড সমাবেশ। শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি নিয়ে এই মুহূর্তে চূড়ান্ত কর্মব্যবস্থা রয়েছে জোড়াফুল শিবিরে। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড বারবার খতিয়ে দেখছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। প্রায় ৪১ বছর পর এতোবড় ব্রিগেড সমাবেশ হচ্ছে বলেই দাবী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই প্রস্তুতিতে কোনো খামতি রাখতে চাননা তিনি। কয়েক মাস আগে থেকেই জেলা এবং ব্লকস্তরের সভা করে ব্রিগেডে রেকর্ড পরিমান লোক জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছিলেন দলনেত্রী। নেত্রীর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেই ব্রিগেডের ময়দান লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থকে ভরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অনুব্রত,শুভেন্দু অধিকারীরা। সেইমতোই সমাবেশের আগের থেকেই কোলকাতায় আসতে শুরু করেছে লোকজন। তবে এতো লোকের ব্যবস্থা শুধু কোলকাতায় করা সম্ভব হচ্ছে না বলে হাওড়াতেও তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ ভোর থেকেই ঝাঁকে ঝাঁকে লোকজন আসতে শুরু করেছে শহরে। রাত পর্যন্ত আরো লোক আসবে বলে জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্রের খবরে। ইতিমধ্যেই হাওড়া স্টেশনে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা লোকজনকে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে পাঠানো হয়েছে। তবে শুধু কোলকাতায় ভরসায় থাকলে এতো লোকের থাকার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে না বুঝতে পেরে হাওড়াতেও তাঁদের জন্যে ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাঁকুড়া,পুরুলিয়াও বিহার থেকে আসা লোকজনের জন্যে উত্তর হাওড়ার দুটো বড়ো পার্ক খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার লোকজনকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে হাওড়াতে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শুধু তাই নয়,শুক্রবার সকালে তাঁদের ডিমের ঝোল ও ভাত দেওয়ারও ব্যবস্থা করেছে জেলা তৃণমূল। এছাড়া উত্তরবঙ্গ থেকে আসা দলীয় কর্মী-সমর্থকদের কোলকাতায় পাঠানোর জন্যে হাওড়া,শালিমার এবং সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে প্রায় ৭০০ টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলাস্তরের কর্মী-সমর্থকরা বাস এবং ট্রেনে করেই ব্রিগেডে পৌছাবেন এমনটাই ঠিক করা হয়েছে। সমাবেশের দিন হাওড়ার বঙ্কিম সেতুর নীচ থেকে একটি বড় মিছিল যাবে ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে। যাঁরা হাওড়ায় থাকবেন তাঁদেরকে সকাল দশটার মধ্যে খেয়ে ব্রিগেডের পথে পা বাড়াতে হবে। এছাড়া দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়েও বাস মারফত প্রচুর কর্মী-সমর্থকরা ব্রিগেডে যাবে। সুতরাং ওই সংশ্লিষ্ট দিনে হাওড়া ব্রিগেডগামী পথে প্রচুর যানজট হবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ব্রিগেডগামী বাসগুলোর অভ্যর্থনার জন্যে একটি ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু পার্মানেন্ট টোল প্লাজা এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের পক্ষ থেকে। এ প্রসঙ্গে,ব্রিগেড সমাবেশের পরিবহণ কমিটির সদস্য বিভাস হাজরা জানান,হাওড়া থেকে ব্রিগেড যাওয়ার জন্য ৭০০ বাস নেওয়া হলেও তা কিন্তু নির্দিষ্ট রুটের জন্যে নয়। বিভিন্ন ট্যুরিস্ট বাস ভাড়া করেই কর্মীদের নির্দিষ্ট স্পটে পৌছে দেওয়া হবে। এতে সাধারণ যাত্রীদের যেমন কোনো অসুবিধা হবে না,তেমনি ব্রিগেডে যেতে ইচ্ছুক মানুষেরও সমস্যা হবে না। একটি বাস ট্রেনে করে আসা কর্মীদের নির্দিষ্ট যাওয়ায় পৌছে দিয়ে আবার স্টেশনে ফিরবে৷ আবার পরের ট্রেনে করে আসা কর্মীদের নির্দিষ্ট স্থানে দিয়ে ফিরে আসবে। এই হাওড়া জেলা থেকেই যা লোক যাবে তাতেই ব্রিগেডের অর্ধেক মাঠ ভরে যাবে। এমনটাই দাবী করলেন হাওড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরূপ রায়। জেলা তৃণমূল সভাপতি গ্রামীণ পুলক রায় জানালেন,উলুবেড়িয়া মহাকুমার লোকজন ট্রেন এবং বাসে করেই ব্রিগেড যাবে। রাজ্য এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ব্রিগেডে যাওয়ার জন্যে স্বাগত জানাতে হাওড়া স্টেশানে একটি বড় ক্যাম্প করা হয়েছে। ব্রিগেডগামী লোকজনদের কোনো সমস্যা হলে এই ক্যাম্পের স্বেচ্ছাসেবকরা তাঁদের পূর্ণ সহায়তা করবেন,এমনটাই জানা গিয়েছে দলীয় সূত্রের খবরে। আপনার মতামত জানান -