এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গ্রূপ-সি ও গ্রূপ-ডি কর্মীদের অর্থ দপ্তরের ‘জাল’ নির্দেশিকা ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল

গ্রূপ-সি ও গ্রূপ-ডি কর্মীদের অর্থ দপ্তরের ‘জাল’ নির্দেশিকা ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল

রাজ্য সরকারের দপ্তরের চুক্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের বেতনহার সম্বলিত ভুয়ো নির্দেশিকা স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়াকে কেন্দ্র করে শোরগোল তুঙ্গে উঠল। ওই সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায় মেমো নম্বর থেকে শুরু করে যাবতীয় সব,এমনকি অর্থ দপ্তরের প্রধান সচিব এইচ কে দ্বিবেদির স্বাক্ষরও হুবহু রয়েছে দেখে চক্ষু চড়ক গাছ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের।

শুধু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাই নন, পাশাপাশি অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকদের মধ্যেও এর জেরে বিভ্রান্তি ছড়ায়। কেন এরকম ‘জাল’ নির্দেশিকা ছড়ানো হল তা নিয়ে স্বাভাবিক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে কর্মীদের মধ্যে। এবং এর নেপথ্যে কারা রয়েছে তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য,বছর কয়েক আগেই চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের চাকরির মেয়াদ বাড়িয়ে ৬০ বছর করেছে রাজ্যসরকার। পাশাপাশি,অবসরের পর এককালীন টাকা প্রদান, তিন বছর অন্তর নির্দিষ্ট হারে বেতন বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্টের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত,অর্থ দপ্তরের ওই জাল নির্দেশিকায় চুক্তিতে নিযুক্ত গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য যে বেতন উল্লেখ করা হয়েছে সেটাও ভুয়ো বলে জানা গিয়েছে সরকারি সূত্রে। সাধারণত গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের সর্বোচ্চ প্রারম্ভিক বেতন যথাক্রমে ১২ হাজার ও ১০ হাজার টাকা। সেখানে ওই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে,গ্রুপ সি কর্মীদের বেতন ১৮ হাজার ৭৮০ টাকা। এর মধ্যে হাউস রেন্ট, টিএ ও চিকিৎসা ভাতা ধরা হয়েছে।

অন্যদিকে,গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে মূল বেতন, হাউস রেন্ট,টিএ ও চিকিৎসা ভাতা মিলিয়ে মোট বেতন ১৬ হাজার ২৮০ টাকা। দুটো ক্ষেত্রেই হাউস রেন্ট,টিএ ও চিকিৎসা ভাতা হিসাবে কত টাকা দেওয়া হচ্ছে তা আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে চুক্তিতে নিযুক্ত গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের মূল বেতন হিসাবে কেবল পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। সেখানে অন্য কোনো ভাতা থাকে না।

এই পার্থক্য সামনে আসায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। কেন এরমক বিভ্রান্তিকর তথ্য ভাইরাল করা হল? এর পেছনে কোনো চক্র আছে কি না তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে প্রশাসন। তৃণমূল প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের কোর কমিটির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই অন্যায়মূলক কর্মকান্ডের জন্যে তদন্তের দাবী করেছেন। এই জাল নির্দেশিকার নেপথ্যে কারা রয়েছে,তাদের অবিলম্বে শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত বলেই মনে করছেন তিনি।

লোকসভা ভোটের মুখে রাজ্যসরকারের দপ্তরের নির্দেশিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ফলে প্রশাসনের ভাবমূর্তিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন শাসকদলের বিশেষজ্ঞরা। তাই এইধরণের ভুয়ো নির্দেশিকা যাতে আর ভাইরাল না হয় তাঁর জন্যে দপ্তরের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের আরো সচতেনতা বাড়ানোর কড়া নিদান দিয়েছে নবান্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!