কোমরে দড়ি পড়ার সময় এসেছে, তাই সংকটকালে মোদীর দ্বারস্থ মমতা! তীব্র কটাক্ষ সুজন চক্রবর্তীর – জেনে নিন বিস্তারিত কলকাতা জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য September 18, 2019 বরাবরই এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে চূড়ান্ত বিরোধিতা করে আসছেন। নানান কটূক্তির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হেনস্থা করেছেন তিনি। এমনকি লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোমরে দড়ি বেঁধে ঘোরানোর কথাও বলেছেন। তাই এবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার সংবাদে অন্যান্য বিরোধীদলের তীব্র কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিআইএমের সুজন চক্রবর্তীর তীব্র কটাক্ষের শিকার হলেন। এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘সেটিং কিভাবে করতে হয়, তা খুব ভালোভাবেই জানেন ওঁরা। প্রধানমন্ত্রীকে কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে আসবে বলেছিলেন। এখন নিজের কোমরে দড়ি পড়ার সময় এসেছে। তাই সংকটকালে মোদির দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। রাজীব কুমারের যা হওয়ার হয়েছে। এবার পিসি ভাইপো যাতে বেঁচে যায় তাই কি তিনি যাচ্ছেন?’ অন্যদিকে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার এখনো পর্যন্ত গরহাজির সিবিআই তলবে। কোথাও হদিস পাওয়া যাচ্ছে না তাঁর। এই প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘খারাপ লাগছে একজন ভালো অফিসারের কি অবস্থা হল এখন! যে অপরাধী ধরবে, সেই কিনা এখন দৌড়চ্ছে।’ উপরন্তু সুজন চক্রবর্তী পুলিশ আধিকারিকদের উদ্দেশ্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কথা মেনে চললে তাঁদেরও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত, এটাও ঠিক যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যা নয় তাই বলে রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে আক্রমণ করেছেন। এমনকি তাঁকে ‘দাঙ্গাবাজ’ও বলেছেন।অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলে সিবিআই এর এই তৎপরতা নিয়ে কিন্তু জোর জল্পনা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে কি কেন্দ্রীয় তরফে সিবিআই হাতিয়ার ব্যবহার করা হচ্ছে? উত্তর অবশ্য জানা নেই। তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকার সম্পর্কে জানিয়েছেন, ‘আমি তো গোটা বছর কলকাতাতেই থাকি। দিল্লি খুব কম যাই। দিল্লিতে সংসদ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সবাই রয়েছেন তাই কখনও কখনও রাজ্যের কাজে যেতে হয়। এটা রুটিন কাজ।’তবে এই সাক্ষাৎকার যে পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে চলেছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -