এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তিন বছরের মধ্যে রাস্তা ভাঙলেই কড়া ব্যবস্থা, দুর্যোগের পরই রনংদেহী মমতা!

তিন বছরের মধ্যে রাস্তা ভাঙলেই কড়া ব্যবস্থা, দুর্যোগের পরই রনংদেহী মমতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বাংলায় কমবেশি প্রতিবছরেই একটা না একটা বড় দুর্যোগ হয়। কখনও আমপান, কখনও আয়লা, আবার কখনও বা বুলবুলের দাপট সহ্য করতে হয় বাংলাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে যখন তৎপর রাজ্য সরকার, ঠিক তখনই গোদের ওপর বিষফোঁড়া হিসেবে দাপট দেখিয়েছে “ইয়াস” নামক ঘূর্ণিঝড়। কলকাতা সহ রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলোর বিভিন্ন এলাকা কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। সমুদ্রের জল বসতি এলাকায় প্রবেশ করার কারণে অনেক রাস্তা খানাখন্দের আকার নিয়েছে।

আর এই পরিস্থিতিতে একের পর এক বাঁধ এবং রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়া নিয়ে এবার রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত তাড়াতাড়ি কিভাবে সব ভেঙে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। বস্তুত, এক বছর আগে ভয়াবহ দুর্যোগ আমফানের সময় বেশ কিছু ক্ষতির পর তা সাড়াই করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

কিন্তু সম্প্রতি আবার ইয়াসের পরে সেই সমস্ত রাস্তা এবং বাঁধ ভাঙতে শুরু করে। আর তা নিয়েই রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান। যার জেরে যে সংস্থা রাস্তা তৈরি করবে, যদি রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে পরবর্তী তিন বছর সেই রাস্তির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে বলে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার নবান্নে দুর্যোগের পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই অনেক রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ হতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এক কাজ করো, পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় যে 46 হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করার কথা হয়েছে, ওর মধ্যেই এই রাস্তা ঢুকিয়ে দাও। তবে মনে রেখো, সাদাপাথর একদম ব্যবহার করবে না। ওগুলো ভেঙে যায়। কালো পাথর দিয়ে রাস্তা তৈরি করবে। আর যে সংস্থা রাস্তা তৈরি করছে, সেই সংস্থাকে অন্তত তিন বছর সেই রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ কোনো সংস্থা রাস্তা তৈরি করার সাথে সাথেই তাঁরা সম্পূর্ণরূপে দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলে দেয়। তবে তিন বছর রাস্তার যদি কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে তাদেরকেই যে তা দেখভাল করতে হবে, এই নিয়ম বেঁধে দিয়ে কার্যত মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অর্থাৎ রাস্তার কাজে নিম্নমানের জিনিস ব্যবহার করার নানা অভিযোগ এতদিন ধরে উঠে আসছিল। তবে যে সংস্থা রাস্তা তৈরি করবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পর রাস্তার কাজ ভালো করার জন্য তাদের ওপরে বেশি চাপ থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। যার জেরে ঢিলেমি এবং দায়সারা ভাবে সড়ক তৈরীর কাজ করা আর দায়িত্বশীল সংস্থার পক্ষে সম্ভব হবে না বলেই দাবি করছেন একাংশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবছর যদি এভাবে দুর্যোগ হয় এবং একের পর এক বাঁধ এবং রাস্তা ভাঙতে শুরু করে, তাহলে রাজ্য সরকারের পক্ষে তা সামলানো সত্যিই অত্যন্ত কঠিন হবে। এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে সেই কথাই তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক অর্থ খরচ হচ্ছে রাজ্য সরকারের। একদিকে করোনা ভাইরাস, অন্যদিকে দুর্যোগ, কোথা থেকে টাকা আসবে, সেই ব্যাপারে চিন্তা বাড়ছে রাজ্য প্রশাসনের।

আর তার মধ্যে যদি দায়িত্বশীল সংস্থা তাদের কাজ ঠিকমত পালন না করে, তাহলে যে কোনোমতেই পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব হবে না, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবার রাস্তা করার দায়িত্বে থাকা সংস্থাকে তিন বছর সেই রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে কার্যত শোরগোল তুলে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যাকে স্বাগত জানাচ্ছেন প্রশাসনিক মহলের একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!