এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কোনও পরোয়ানার দরকার নেই! তল্লাশি-গ্রেপ্তারি করবে মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ বাহিনী? শুরু বিতর্ক

কোনও পরোয়ানার দরকার নেই! তল্লাশি-গ্রেপ্তারি করবে মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ বাহিনী? শুরু বিতর্ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকারের এবার নতুন নিয়ম। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এর আগেও যোগী সরকারকে বহুবার বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে। নতুন নিয়মে এবার থেকে উত্তরপ্রদেশে কোনো তল্লাশি বা গ্রেফতারিতে লাগবেনা কোনো নির্দিষ্ট ওয়ারেন্ট। রবিবার রাতে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে টুইট করে এই নতুন ফরমান জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনে এবার থেকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স বলে একটি নতুন বাহিনী যুক্ত হতে চলেছে।

জানা গেছে, এই বাহিনী রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন থাকবে। এই বাহিনীর হাতে দেওয়া থাকবে পর্যাপ্ত ক্ষমতা। যার ফলে যে কোন ব্যক্তিকে ওয়ারেন্ট ছাড়াই যেকোন জায়গা থেকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করতে পারবে এই বাহিনী। এর সাথে যেকোনো জায়গায় এবার থেকে অনুমতি ছাড়াই তল্লাশি চালাতে পারবে এই বাহিনী। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত মুখ্য সচিব অবনীশ কুমার আওয়াস্থি জানিয়েছেন, এসএসএফ জওয়ানদের হাতে বিশেষ ক্ষমতা থাকবে যার ফলে তাঁরা বিনা বাধায় কাজ করতে পারবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বলা হয়েছে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি রায়কে ব্যবহার করেই এই বিশেষ বাহিনী তৈরি হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভাতে ইতিমধ্যেই এসএসএফ সংক্রান্ত বিলটি পাস হয়ে গিয়েছে বিনা বাধায়। 15 দিনের মধ্যেই রাজ্যের ডিজিপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত নিয়ম তৈরি করার এবং তিন মাসের মধ্যে এসএসএফ জওয়ানদের কাজ করতে দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে এসএসএফ এর পাঁচটি ব্যাটেলিয়ান থাকবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি ব্যাটেলিয়ানে 1913 জন জওয়ান থাকবে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে এই বাহিনী তৈরী করতে রাজ্যের প্রায় 1747 কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা গেছে। এই বাহিনীর নেতৃত্বে থাকবেন এডিজি পদের আইপিএস অফিসাররা। কিন্তু ইতিমধ্যে খুব স্বাভাবিকভাবেই এসএসএফের ক্ষমতা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই যোগী সরকারকে একনায়কতন্ত্র প্রশাসন বলে মনে করছেন। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত খরচ করে বাহিনী বানানোর কি প্রয়োজন আছে আর তার সাথেই প্রশ্ন উঠেছে তাহলে সরকার কি এবার নিজেদের সুবিধামতো এসএসএফ বাহিনী কে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!