এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যে বন্যার আশঙ্কা, আর দিল্লিতে রাজনীতি করছে তৃনমূল ! চরম দুর্গতি বাংলার !

রাজ্যে বন্যার আশঙ্কা, আর দিল্লিতে রাজনীতি করছে তৃনমূল ! চরম দুর্গতি বাংলার !


 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পুজোর আগে ডিভিসি জল ছাড়ার কারণে বাংলার বেশ কিছু জেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা নিয়ে প্রবল চিন্তায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু মুখ্যসচিব কয়েকটি জেলাকে নিয়ে বৈঠক করে সাবধানতার নির্দেশ দিয়ে মুখ রক্ষা করেছেন। ব্যস, ওই পর্যন্তই। বন্যা হলে তাকে কিভাবে আটকানো যাবে, কিভাবে সরকার কাজ করবে, তার জন্য মন্ত্রীদের কোনো ভূমিকা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ তারা তো সবাই দিল্লিতে। বাংলার প্রতি বঞ্চনা হচ্ছে, সেই অভিযোগে বাংলার সমস্ত মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদরা, দিল্লিতে গিয়ে ধর্না দিচ্ছেন। আর সাধারণ মানুষ বিপদের আশঙ্কায় দিন গুনছেন। এই তো বাংলার পরিস্থিতি। আর সেই কথাই তুলে ধরে রাজ্যকে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লি যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দুবাবু। আর সেখানেই তাকে এই বন্যার আশঙ্কা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। যে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “সেচমন্ত্রী দিল্লিতে, মুখ্যমন্ত্রী অসুস্থ। গোটা সরকার দিল্লিতে। রাজঘাটে গিয়ে ধরনা দিচ্ছে। একটা হুইসেল শুনেই সব পালিয়েছে।” আর এখানেই প্রশ্ন, রাজ্যে যখন বন্যার প্রবল আশঙ্কা, তখন তাকে প্রতিরোধ করার জন্য কেন প্রস্তুত নেই নবান্ন? শুধুমাত্র এক, দুটো লোক দেখানো বৈঠক করলেই কি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? মন্ত্রীদের কাজ তো রাস্তায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতির তদারকি করা। তা না করে দিল্লিতে গিয়ে এইভাবে সময় নষ্ট করার কি কোনো লাভ রয়েছে! তাতে কি বাংলার মানুষ রক্ষা পাবে এই বন্যা থেকে! বাংলার জন্য আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগে তৃণমূল ধর্না দিতে গিয়েছে। তার জন্য তো এত নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে যাওয়ার দরকার নেই। তারা তো মানুষের কাজের জন্য শপথ নিয়েছেন। সেইখানে ধর্না দেওয়া কি মন্ত্রীদের কাজ! তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন একাংশ।

বলা বাহুল্য, রাজ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বর্তমানে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কিন্তু এই ডেঙ্গু পরিস্থিতির সমাধানের জন্য আগেই সরকারের সঙ্গে দেখা করে পরিস্থিতি জানাতে চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাকে দেখা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে তিনি স্বাস্থ্য ভবনে যেতে চেয়েছিলেন, সেখানেও তাকে বাধা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বিরোধীরা গঠনমূলক পরামর্শ দিলেও, সরকার তা নিতে চাইছে না, তা প্রমাণিত। আর সামনে যখন পুজো, বন্যায় গোটা রাজ্যের প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে কেন হুঁশ নেই এই রাজ্য সরকারের? কেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী দিল্লি থেকে রাজ্যে এসে গোটা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করছেন না! তার কাছে কি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে নিজের দলের সামনে হিরো হওয়াটা সবার আগে! নাকি মানুষের কাজ করাটা সবার আগে ! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলা যখন পূজার মধ্যে ভাসবে, যখন পুজোর আনন্দ মাটি হয়ে যাবে, তখন এই তৃণমূলের নেতারা ডিভিসির ঘাড়ে দোষ চাপাবেন। কিন্তু পরিস্থিতি যখন আয়ত্তের মধ্যে রয়েছে, তখন তারা কোনো পদক্ষেপ নেবেন না। এটাই তো বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন তো তাদের কেন্দ্রের ঘাড়ে দোষ চাপাতে হবে। আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে দিল্লিতে আন্দোলন করতে হবে। তাই গোটা রাজ্যের সরকার এখন দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করার নামে নাটক করতে ব্যস্ত। আর বাংলার সাধারণ মানুষ বন্যার আশঙ্কায় কার্যত ভীত হয়ে রয়েছেন। তবে এবার যদি বন্যা হয় এবং সেই বন্যায় যদি পুজোর মুখে ভেসে যায় মানুষের ঘরবাড়ি, তাহলে এই সরকারের ঢিলেমি মনোভাব এবং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কথায় কথায় রাজনীতি করার মুখোশ সাধারণ মানুষ টেনে খুলে দেবে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!