এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দিল্লিতে চরম নাটক তৃনমূলের ! রাতেই ফ্লাইট ধরে রাজধানীতে শুভেন্দু, জব্দ হবে তৃনমূল !

দিল্লিতে চরম নাটক তৃনমূলের ! রাতেই ফ্লাইট ধরে রাজধানীতে শুভেন্দু, জব্দ হবে তৃনমূল !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলার প্রতি আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগে দিল্লিতে আন্দোলনের নামে কার্যত নাটক শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পুলিশের একটা হুইসেলেই পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন আঞ্চলিক তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতারা। আজকেও যন্তর মন্তরে তাদের ধারণা রয়েছে বলে খবর আর এর মাঝেই সোমবার রাতেই ফ্লাইট ধরে দিল্লিতে পৌঁছে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একটি সর্বভারতীয় দলের কোনো একজন নেতা দিল্লিতে যেতেই পারেন। তা নিয়ে বিশেষ আলোচনার কিছু নেই। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন তৃণমূলের সমস্ত নেতারা দিল্লিতে রয়েছেন, অবস্থান-বিক্ষোভে ব্যস্ত, তখন বাংলা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর তড়িঘড়ি দিল্লিতে যাওয়া নানা সম্ভাবনাকে উসকে দিচ্ছে।

অনেকে বলছেন, বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আবার অনেকে বলছেন, যে আর্থিক বঞ্চনার কথা বলছে তৃণমূল কংগ্রেস, তাকে কি করে মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়েই হয়তো কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে কথা বলবেন এবং এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। কারণ আর যাই হোক, বাংলায় এই তৃণমূলকে টাইট যদি কেউ দিতে পারেন, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। তাই তাকে তড়িঘড়ি বর্তমান পরিস্থিতিতে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলেই দাবি করছে একটি বিশেষ মহল।

সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর এই দিল্লির সফর নিয়ে আগে ভাগে তেমন কোনো খবর ছিল না। হঠাৎ করেই তিনি সোমবার রাতের 8:15 মিনিটের ফ্লাইট ধরে দিল্লি উড়ে গিয়েছেন। আর বলা নেই, কওয়া নেই, শুভেন্দু অধিকারীর এই দিল্লি সফর নানা মহলে তৈরি করেছে আলোচনার বাতাবরণ। তবে এই আলোচনা হতো না, যদি না তৃণমূল দিল্লিতে তাদের এই বিক্ষোভের নামে নাটকটা মঞ্চস্থ করত। হয়ত শুভেন্দু অধিকারী উপলব্ধি করেছেন যে, সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে হবে। তাদের পর্দাফাঁস করতে হবে। তৃণমূল যে বাংলার মাটিতে দুর্নীতি করেছে, সেই কারণেই যে তাদের টাকা বন্ধ রাখা হয়েছে, তা কেউ বলছেন না। তাই সেই তথ্য তুলে ধরতে এবং তৃণমূলকে মুখের মত জবাব দিতেই শুভেন্দু অধিকারী দিল্লিতে পৌঁছে গেলেন বলেই মত একাংশের।

বিরোধীদের দাবি, খেলা তো সবে শুরু হয়েছে। বাংলার মাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যিনি কাবু করতে পারেন, তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। এটা এতদিন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব না বুঝলেও, এখন দিল্লিতে তৃণমূলের এই নাটক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বিজেপি নেতৃত্ব বুঝতে শুরু করেছে যে, তৃণমূলকে এবার বাংলার মাটিতে জবাব দেওয়ার সময় চলে এসেছে। তাই জবাব দেওয়ার লোক যিনি, সেই শুভেন্দু অধিকারীকে তড়িঘড়ি দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাই তৃণমূল যে স্বপ্নে বিভোর ছিল যে, সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তারা নিজেদের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে, তা ব্যর্থ হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। শুভেন্দু অধিকারী দিল্লিতে পৌঁছে তৃণমূলের মুখোশ খুলে দিলেই ঘাসফুলের যুবরাজ চুপসে যাবেন বলেই কটাক্ষ বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লি সফরের পেছনে আর একটা বড় কারণ থাকতে পারে। আজকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছে। কিন্তু তিনি দিল্লিতে প্রতিবাদে রয়েছেন। তাই তিনি যেতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। বাংলার মানুষ চাইছেন যে, ডাকাডাকির পালা অনেক হল। এবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হোক। তাকে ধরা হোক। এমনকি শুভেন্দুবাবুও বারবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ঢিলেঢালা পদক্ষেপ মেনে নিতে পারছে না। তাই বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব হয়তো এই সরল সত্যটি উপলব্ধি করতে পেরেছেন। যে কারণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সকলেই যখন দিল্লিতে বিজেপিকে চাপে রাখতে ব্যাস্ত, তখন শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে তৃণমূলকে চাপে রাখার কৌশল জেনে নিতে চাইছেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। দিনের শেষে তেমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে ঠিক কি কারনে দিল্লি গেলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং তার এই দিল্লি সফর নিয়ে বড় কোনো নির্যাস সামনে আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!