প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার বলতে শোনা গেছে, এই করোনা ভাইরাস থাকবে। আর তাকে সঙ্গী করেই ভবিষ্যতের পথ চলতে হবে। বাস্তবিক অর্থে এছাড়া তেমন কোনো উপায় নেই। কেননা কতদিন মানুষ নিজের কাজ ফেলে গৃহবন্দী হয়ে থাকবেন, তা একটা বড় প্রশ্ন। ঠিক একইভাবে রাজনৈতিক দলগুলো যদি এইভাবে ঘরে বসে থাকে, তাহলে সামনের বিধানসভা নির্বাচনে তাদের ভালো ফল করা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

ইতিমধ্যেই একুশে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভা থেকে দলকে আরও শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সোশ্যাল মিডিয়াকে পাথেয় করে প্রচার করা যায়, তার জন্য বার্তা দেওয়া হয়েছে। তাই এবারে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতাকে উপেক্ষা করে সোশ্যাল মিডিয়াতে আরামবাগে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রচার প্রক্রিয়ায় নেমে পড়েছে। শাসকদলের উন্নয়ন থেকে শুরু করে বিরোধীদের অপপ্রচার, নানা কথা তুলে ধরে তৃণমূল সমাজমাধ্যমে তাদের প্রচার করতে তৎপর হয়েছে।

জানা গেছে, খানাকুল 1 নম্বর যুব তৃণমূল কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস মিডিয়া সেল, গোঘাট তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, বিধায়ক মানস মজুমদার সাপোর্টার্স, আরামবাগ শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেস, আরামবাগ ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেস, পুড়শুড়া বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেস, পুড়শুড়া ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেস ইত্যাদি ফেসবুক প্রোফাইলগুলোকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলের ব্যাপক প্রচার করা হচ্ছে। তাহলে কি সোশ্যাল মিডিয়াই এখন তৃণমূলের রাজনৈতিক প্রচারের একমাত্র হাতিয়ার!

শাসকদলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেভাবে করোনা ভাইরাস চারিদিকে ছড়াতে শুরু করেছে, তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। এই সময় যদি মাঠে ময়দানে নামা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে। তাই ঘরে বসেই নেতাকর্মীরা স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে দলের প্রচারের কাজে যুক্ত থাকছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শাসকদল 2021 কে কিছুটা হলেও চাপ হিসেবে দেখছে। কেননা যেভাবে বিজেপির উত্থান শুরু হয়েছে, তাতে তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরতে হলে বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে।

তাই এই অবস্থায় উন্নয়নের উপর নির্ভর করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বিজেপি যখন সোশ্যাল মিডিয়াকে কার্যত গুরুত্ব দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে, তখন তৃণমূল সেই সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নিলেও, তারা কতটা সফলতা লাভ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।