এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > দলীয় বৈঠকে ধমকের মুখে সৌমিত্র, দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে? জল্পনা তুঙ্গে!

দলীয় বৈঠকে ধমকের মুখে সৌমিত্র, দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে? জল্পনা তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   প্রথম উত্তরবঙ্গের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে সেখানকার জেলাগুলোকে নিয়ে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কথা তুলে ধরেছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা। বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য নেতৃত্ব স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই বক্তব্য জন বারলার নিজস্ব বক্তব্য। কিন্তু এরসঙ্গে বিজেপির রাজ্য কমিটি সহমত নয়। তবে তারপরেও কার্যত দলের বিপক্ষে হেঁটে সেই জন বারলার বক্তব্যকে সমর্থন করতে দেখা যায় বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে।

শুধু তাই নয়, একধাপ বাড়িয়ে জঙ্গলমহলের জেলাগুলোকে নিয়ে পৃথক রাজ্য হওয়া উচিত বলেও দাবি করতে দেখা যায় তাকে‌। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে বিজেপির মত সাংগঠনিক এবং শৃঙ্খলাপরায়ন দলের পক্ষ থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট করার পরেও, কেন এরকম বেলাগাম মন্তব্য করলেন সৌমিত্রবাবু, তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার দলীয় বৈঠকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ধমকের মুখে পড়তে হল সেই সৌমিত্র খাঁকে। যা প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিলেন সৌমিত্রবাবু। যার ফলে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-এর দূরত্ব বাড়ছে বলে দাবি করতে শুরু করেছেন একাংশ।

বস্তুত, জন বারলার মন্তব্যের পর রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট করে দেওয়ার পরেও, সৌমিত্র খাঁ জঙ্গলমহলকে নিয়ে আলাদা রাজ্য তৈরি করার দাবি করেন। আর এই পরিস্থিতিতে যথেষ্ট চাপে পড়ে যায় ভারতীয় জনতা পার্টি। রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট করার পরেও কেন সৌমিত্রবাবু এই ধরনের মন্তব্য করলেন, তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। আর এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি দলীয় বৈঠকে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সৌমিত্রবাবুর এই ধরনের মন্তব্যের জন্য তাকে ব্যাপকভাবে সমালোচনা করেন বলে খবর।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, “আমায় দিলীপদা বকেছেন। বড়রা শাসন করতেই পারে। কিন্তু আমি দলকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাইনি। ওটা যে আমার ব্যক্তিগত বক্তব্য ছিল, সেটাও আমি বলেছি। তৃণমূল সরকারের আচরণের জন্যই আমার এই বক্তব্য।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের একাংশ একমত হলেও, সৌমিত্রবাবু পৃথক রাজ্য করা নিয়ে যে দাবি করেছেন, তারপরে তৃণমূল বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গিয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এই বিষয়ে অস্বস্তি ঢাকতে দলীয় বৈঠকে তার এই মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক চর্চা হয়েছে। আর তা বুঝতে পেরেই বিতর্ক যাতে তাকে গ্রাস না করে, তার জন্যই গোটা বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে তৃণমূল সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধেই তিনি এই কথা বলার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করতে দেখা গেল বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদকে।

একাংশ বলছেন, ‌ ভারতীয় জনতা পার্টি প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে, তারা বাংলা ভাগের পক্ষে নয়। এক্ষেত্রে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ উত্তরবঙ্গের বঞ্চনার কথা তুলে ধরার পরেই যেভাবে রাজ্য ভাগের দাবি তুলেছেন, তাতে যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছিল গেরুয়া শিবির। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে তারা এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত নয় বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। কিন্তু তারপরেও কার্যত পার্টি লাইনের বিপক্ষে গিয়ে জঙ্গলমহলের জেলাগুলোকে নিয়ে আলাদা রাজ্য গঠনের দাবি করতে দেখা যায় বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে।

স্বাভাবিক ভাবেই একটি মন্তব্য করার পরে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অবস্থান স্পষ্ট করার পরেও কেন সৌমিত্রবাবু এই ধরনের মন্তব্য করলেন, তা নিয়ে দলের অন্দরে তৈরি হয় প্রশ্ন। এমনকি দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই বিষয়ে ব্যাপক সমালোচিত হতে হয় সেই সৌমিত্র খাঁকে। আর তারপরেই রীতিমত চাপে পড়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করলেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!